Advertisement
১০ জানুয়ারি ২০২৫

সাইবার অপরাধ, টাকা ফেরাল পুলিশ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনা ঘটে। ওই দিন দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রামের দুই বাসিন্দা দুষ্কৃতীদের ফোন পান। তাঁদের একটি তারিখের কথা বলে জিজ্ঞাসা করা হয়,  ওই তারিখে তাঁরা গ্যাস বুক করেছিলেন কি না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:০৬
Share: Save:

মাস আড়াই আগে হেতমপুরের দুই বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৮১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। অপরাধীদের ধরে ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করে এক অভিযোগকারিণীকে ফেরাল সিউড়িতে জেলা পুলিশের সাইবার সেল। মঙ্গলবার বিকেলে ডেপুটি পুলিশ সুপার (সদর) কাশীনাথ মিস্ত্রির উপস্থিতিতে হেতমপুরের বাসিন্দা মিতা দাসের হাতে ওই টাকা তুলে দেওয়া হয়। ডেপুটি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যা কিছু হয়েছে আদালতের নির্দেশেই হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনা ঘটে। ওই দিন দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রামের দুই বাসিন্দা দুষ্কৃতীদের ফোন পান। তাঁদের একটি তারিখের কথা বলে জিজ্ঞাসা করা হয়, ওই তারিখে তাঁরা গ্যাস বুক করেছিলেন কি না। ‘হ্যাঁ’, উত্তর পেতেই ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে বলা হয় যে তাঁরা আধার লিঙ্ক করেন নি। অনলাইন ফর্মও

ফিলআপ করা হয়নি বলে ফোনে দাবি করা হয়। বলা হয়, সামনের মাস থেকে ভর্তুকি বন্ধ, আপনার গ্যাসও বুক করা যাবে না। এমন ফোন পেয়ে মুহূর্তে গ্রাহকেরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কাজ হাসিল করে দুষ্কৃতীরা।

পুলিশ জানিয়েছে, কীভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল সেটাই অবাক করেছিল পুলিশকে। কোনও গ্রাহকই এটিএম কার্ডের তথ্য দেননি। পুলিশ জানতে পারে, ভয় পেয়েছেন বোঝার পরেই ওই দুই গ্রাহককে দুষ্কৃতীরা আধার নম্বর আর ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকা মোবাইল নম্বর দিতে বলে। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের মূল লক্ষ্য ছিল ওই মোবাইল নম্বরটিই। পুলিশ জানতে পারে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের একটি মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ রয়েছে।

সেই অ্যাপে গিয়ে গ্রাহকদের তথ্য ব্যবহার দুষ্কৃতীরা মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা নেয়। তার আগে রেজিষ্ট্রেশন নম্বরটা গেল বলে ওটিপিও গ্রাহকদের কাছে জেনে নেয় দুষ্কৃতীরা। তারপরেই গ্রাহকেরা দেখেন টাকা উধাও।

অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে মাত্র মাত্র চার দিনের মাথায় ওই সাইবার অপরাধে যুক্ত চার জনের একটি দলকে দুবরাজপুরের মেটেলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু অ্যান্ড্রয়েড ও সাধারণ মোবাইল। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ও এটিএম কার্ড। অপরাধের শিকড়ের সন্ধান পেতে ও হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফেরত পেতে ধৃতদের চার দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। কিন্তু সব টাকা উদ্ধার হয় নি। যেটুকু টাকা উদ্ধার করা গিয়েছিল সেটাই আদালতের নির্দেশে ঘটনার শিকার হেতমপুরের বাসিন্দা মিতা দাসকে ফেরত দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Cyber Crime Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy