মাওবাদী পোস্টার। -নিজস্ব চিত্র।
মাওবাদীদের পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়। বুধবার থেকে মাওবাদী সংগঠনের পক্ষে গণমুক্তি গেরিলা ফৌজ সপ্তাহ পালন শুরু হচ্ছে। তার ঠিক আগে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার নিয়ে চিন্তায় প্রশাসনও।
২ থেকে ৮ ডিসেম্বর মাওবাদীদের গণমুক্তি গেরিলা ফৌজ সপ্তাহ পালন হয়। তার আগে সোমবার পুরুলিয়ার মানবাজারের বান্দোয়ান এবং বড়াবাজার থানার অন্তর্গত ২টি আলাদা অঞ্চল থেকে একাধিক পোস্টার, লিফলেট এবং হ্যান্ডবিল উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলোর কোনওটায় সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা, কোনওটা হিন্দিতে ছাপানো।
সোমবার সকালে স্থানীয়রা ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁদের বাড়ির দেওয়ালে, এলাকার বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টার। মাটিতেও পোস্টার-ব্যানার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এ সব দেখেই বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সব পোস্টার-ব্যানার উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মোদীর মুখে মনোমোহন বসুর বাংলা কবিতার লাইন, কে এই কবি
ওই পোস্টার-ব্যানারের যা বক্তব্য তাতে মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি নীতির বিরোধিতা করা রয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি রেখেছেন এবং আদানি, মিত্তল, টাটাদের জমি দখলের বিরুদ্ধেও কথা রয়েছে। জঙ্গলমহলের সমস্ত স্কুল, পঞ্চায়েত ভবন, স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পুলিশ ক্যাম্প সরানোর দাবিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘নিভার’-এর ক্ষত মেলায়নি, আবার নিম্নচাপ, পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব পড়বে কি?
মাওবাদীদের এই পোস্টার-ব্যানার ঘিরে পুলিশের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আইজি বাঁকুড়া রেঞ্জ আর রাজশেখরণ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের গোয়েন্দাদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলছেন বলে জানা গিয়েছে।
এর আগেও পুরুলিয়া কোটশিলা থানা এলাকা থেকে বেশি কিছু পোস্টার উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তবে সে গুলি মাওবাদীদের ছিল না বলেই অনুমান করেছিল পুলিশ। তবে এই পোস্টার-ব্যানারগুলো দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এটা মাওবাদীদের কাজ বলেই জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy