Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

অবরোধ তুলতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’

এক ট্রাক চালককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধে সামিল হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। আর সেই অবরোধ তুলতে গিয়েই অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে এক এএসআই-সহ তিন পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা নাগাদ মহম্মদবাজারের সোঁতশাল মোড়ের কাছে মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। পুলিশের যদিও দাবি, পুলিশকর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। ওই ঘটনার পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে অবরোধ হঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ-জনতা বচসা। —নিজস্ব চিত্র।

পুলিশ-জনতা বচসা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৪৭
Share: Save:

এক ট্রাক চালককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধে সামিল হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। আর সেই অবরোধ তুলতে গিয়েই অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে এক এএসআই-সহ তিন পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা নাগাদ মহম্মদবাজারের সোঁতশাল মোড়ের কাছে মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। পুলিশের যদিও দাবি, পুলিশকর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। ওই ঘটনার পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে অবরোধ হঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ময়ূরেশ্বর থানার অন্তর্গত মল্লারপুর ফাঁড়ির পুলিশ তাড়া করে এক ট্রাক চালককে ধরে। পুলিশের দাবি, জয়দেব বাদ্যকর নামে ওই ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির একটি মামলায় ওয়ারেন্ট জারি ছিল। মল্লারপুর রেলসেতুর কাছে চালককে গাড়ি থামানোর জন্য নির্দেশ দেয় পুলিশ। অভিযোগ, গাড়ি না থামিয়ে গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে জয়দেব। পুলিশ গাড়ি নিয়ে পিছু ধাওয়া করে মহম্মদবাজারের সোঁতসালের কাছে ট্রাকটিকে থামাতে সক্ষম হয়। তার পরেই ওই চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গণ্ডগোল বাধে এর পরেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পুলিশ ও ট্রাকচালককে অকারণে গ্রেফতার করেছে। তাকে মারধরও করা হয়েছে। মুহূর্তেই উত্তেজিত জনতা জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করে। অবরোধের খবর পেয়ে মহম্মদবাজারের কাপাসডাঙা ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কথায় কাজ না হওয়ায় অবরোধ তুলতে তারা লাঠি চালায় বলেও অভিযোগ। ক্ষুব্ধ লোক জন তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাথর ছুড়তে শুরু করে। তারই ঘায়ে এক এএসআই ও দুই পুলিশকর্মী জখম হন বলে খবর। বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশের লাঠির ঘায়ে চার অবরোধকারীও জখম হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই সিআই (সিউড়ি সদর) আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে বড় পুলিশ বাহিনী চলে আসে। তারা অবরোধ তুলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে, পুলিশেরই একটি সূত্রের দাবি, অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সামান্য বচসা হয়েছিল। লাঠি চালানো বা পুলিশের মার খাওয়ার দাবি ঠিক নয়। এ দিকে, ধৃত জয়দেব বাদ্যকরকে এ দিন রামপুরহাট আদালত ১০ দিন জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE