Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Children abuse

শিশুদের উপর নির্যাতন বৃদ্ধির ইঙ্গিত পকসোয়

২০১৩ সালে প্রথম সিউড়িতে যখন পকসো আদালত গঠিত হয় তখন মামলার সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩টি। পরের বছরেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫ তে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:১৫
Share: Save:

জুলাই মাসের ২৬ এবং ২৭ তারিখ দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই অভিযুক্তের এক জনকে ১০ বছরের এবং অন্য জনকে ২০ বছরের সাজা শুনিয়েছিল সিউড়ির বিশেষ আদালত। শুধু এই দুটি উদাহরণ নয়, শিশুদের উপরে যৌন নির্যাতনে আইনি ব্যবস্থা নিতে পকসো আইনে অভিযোগের বহর থেকেও স্পষ্ট, অপরাধের শিকড় অনেক গভীরে। তবে আইনের সুযোগ নিয়ে মিথ্যা মামলাও হচ্ছে বলে মত আইনজীবীদের একাংশের।

২০১২ সালে ‘প্রিভেনশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ বা পকসো আইন চালু হয়। বীরভূমের সিউড়িতে বিশেষ আদালত চালু হয়েছে তার পরের বছর। ২০১৬ সাল পর্যন্ত বীরভূমের সিউড়িতে বিশেষ পকসো আদালত ছিল। সারা জেলার শিশুদের যৌন নির্যাতনের বিচার হত সেখানেই। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে বোলপুর ও রামপুরহাট মহকুমায় দু’টি পৃথক পকসো আদালত হয়েছে। তার মূল কারণ মামলার সংখ্যাবৃদ্ধি।

২০১৩ সালে প্রথম সিউড়িতে যখন পকসো আদালত গঠিত হয় তখন মামলার সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩টি। পরের বছরেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫ তে। ২০১৫ সালে মামলার সংখ্যা ছিল ৭৯টি। ২০১৬ সালে আরও দুটি আদালত ভাগ হয়ে গেলেও সংখ্যাটি ছিল ৭৬। সিউড়ির বিশেষ আদালতের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে মোট ৪০টি মামলা হয়েছিল পকসো আইনে। ২০২০ সালে মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬টি। ২০২১ সালে ৩৭টি। ২০২২ সালে ৪১টি। ২০২৩ সালে জুলাই পর্যন্ত ১৬টি মামলা হয়েছে। শিশুদের নিয়ে কাজ করা জেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তা বলছেন, ‘‘এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যেগুলি সরকারি খাতায় ঠাঁই পায়নি।’’

কী করলে আরও বেশি করে শিশুদের উপর যৌন হেনস্থা-সহ অন্য নানা অপরাধ ঠেকানো যাবে ও শিশুদের অধিকার রক্ষা হবে তা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে জেলা প্রশাসনে একটি আলোচনাও ছিল। কিন্তু নানা প্রশাসনিক উদ্যোগ, এত সংখ্যক মামলার নিষ্পত্তি হলেও অপরাধে রাশ টানা গিয়েছে কি? জেলার বিশেষ পকসো আদালতের সরকারি আইনজীবী রণজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন, “সাজা ঘোষণার হার বেড়েছে, যদিও শিশুদের উপরে যৌন নির্যাতন থামেনি।’’

রণজিৎ অন্য একটি আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ সঠিক এমনটাও নয়, অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এই শক্ত আইনকে হাতিয়ার করে অনেকে অন্যায় সুযোগও নিচ্ছে।’’

ঘটনার প্রমাণও রয়েছে। গত বছর দুবরাজপুর থানা এলাকায় এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে পড়শি এক শিশুকন্যার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। সেই মামলায় সিউড়ির বিশেষ আদালত মাস তিনেক আগে ওই বৃদ্ধকে বেকসুর মুক্তি দিয়েছে। ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার জন্য মামলাকারীকে ছ’মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল সিউড়ির বিশেষ আদালত।

অন্য বিষয়গুলি:

Suri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy