চারা পুঁতছেন মন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় ধূলো দূষণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সরব হয়েছেন। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে পাথর ব্যবসায়ীরা তাঁদের পাথর ভাঙা কারখানায় ধূলো দূষণ ঠেকাতে অনেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। তবে অনেকগুলি ইউনিট গাছ লাগানোর ব্যাপারে সচেতন নয়। সম্প্রতি পরিবেশ দূষন নিয়ে এলাকার অনেক পাথর ব্যবসায়ীকে সতর্কও করেছে প্রশাসন। এ বার তাই বৃক্ষরোপণে উদ্যোগ নিল রামপুরহাট পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। তারা ঠিক করেছে পলাশ গাছ লাগানো হবে প্রতিটি ইউনিটে। সোমবার প্রথম উদ্যোগ নিয়ে পলাশ গাছ লাগাতে শুরু করল ব্যবসায়ী সমিতির বারমাসিয়া শাখা। এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রামপুরহাট মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও নিতীশ বালা, রামপুরহাট থানার আইসি স্বপন ভৌমিক এবং পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সদস্য-সহ স্থানীয় বনহাট পঞ্চায়েতের সদস্যদের উপস্থিতি সোমবার বারমাসিয়া এলাকায় পলাশ গাছ লাগানো শুরু হয়।
দুমকা রোডের ধারে বারমাসিয়া এলাকায় ৯৩টি পাথর ভাঙা কারখানা আছে বলে জানায় ব্যবসায়ী সংগঠন। সমিতির সভাপতি ইফতিকাপ আহমেদ বলেন, ‘‘পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে, ধুলো দূষণ ঠেকাতে মাঝে মাঝে জাতীয় পরিবেশ আদালত থেকে পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় গাছ লাগানোর কথা বলা হয়। অনেক ইউনিটে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করেছে।’’ সমিতির সম্পাদক মুস্তাক আহমেদ জানান, প্রতিটি ইউনিটে ২০টি করে পলাশ গাছ লাগানো হবে। গাছ লাগানো থেকে গাছের যাবতীয় পরিচর্যার দায়িত্ব থাকবে মালিকদেরই।
মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস এ দিন বলেন, ‘‘বীরভূম জেলার পরিবেশের সঙ্গে এলাকায় পলাশ গাছ থাকবে না এটা ঠিক মানায় না। মূলত সেই ভাবনা থেকে এবং পলাশ গাছের উপকারিতা সম্পর্কে এলাকাবাসীকে জানিয়ে মাস দু’য়েক থেকে রামপুরহাট মহকুমা এলাকায় পলাশ গাছ লাগানো চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy