আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতদের। —নিজস্ব চিত্র।
আদালতের ভুয়ো কর্মী দেখিয়ে এক বছরে প্রায় আড়াই কোটি টাকার জালিয়াতি করেছেন। এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বাঁকুড়া জেলা আদালতের এক করণিক এবং তাঁর বন্ধুকে। বাঁকুড়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) ময়ূখ মুখোপাধ্যায় লিখিত ওই অভিযোগ করেছেন বাঁকুড়া সদর থানায়। এর পর পুলিশ জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বেঞ্চ ওয়ান করণিক প্রীতম ভকত এবং তাঁর বন্ধু অভীক মিত্রকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার ধৃতদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক দু’জনকেই পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রীতম এবং অভীকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা আদালতের কর্মী এবং বিচারকদের নামের বানানের হেরফের করে ভুয়ো কর্মী দেখিয়ে মাসের পর মাস ধরে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ, তাঁরা কুড়ি জনেরও বেশি ভুয়ো কর্মী এবং বিচারক দেখিয়ে গত এক বছরে ২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন। বাঁকুড়া জেলা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে পর্যন্ত বাঁকুড়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের হিসাবরক্ষক পদে ছিলেন প্রীতম। সেই সুযোগ নিয়ে তিনি এই সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ। আদালত সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত টাকা নিয়েছেন প্রীতম। ওই জালিয়াতির জন্য বন্ধু অভীকের আ্যাকাউন্টও তিনি কাজে লাগান বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি বোনাস সংক্রান্ত নথিপত্র নাড়াচাড়া করতে গিয়ে বিষয়টি প্রথম নজরে আসে আদালতের এক কর্মীর। এর পর বিষয়টি সিজেএম-এর নজরে আনা হয়। তিনি লিখিত ভাবে বাঁকুড়া সদর থানায় অভিযোগ জানান। সোমবার রাতে প্রীতম এবং অভীককে গ্রেফতার করা হয়। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছি। ২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
মূল অভিযুক্ত প্রীতমের আইনজীবী সায়ন্তন চৌধুরী বলেন, ‘‘২ কোটি টাকার বেশি সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্ত একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। তাই এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy