ভগ্নদশা: ভেঙে পড়েছে বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
ঘরের হাল জানিয়ে পুরসভার কাছে বারবার আবেদন করেও মেলেনি সরকারি প্রকল্পের বাড়ি। শনিবার রাতে সেই কাঁচা বাড়িই আচমকা হুমমুড়িয়ে ভেঙে জখম হলেন বছর ষাটের প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ডান হাত ভেঙেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিকাপুরের বাসিন্দা প্রভাতবাবু দীর্ঘ দিন একটি মাটির বাড়িতে বসবাস করতেন। রোগে ভুগে ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রী মারা যান। দুই মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ওই বাড়িতে একাই থাকতেন ওই বৃদ্ধ। স্থানীয় পোস্ট অফিসে অস্থায়ী কেরানির কাজ করে কোনও রকমে জীবন যাপন করতেন। এ দিকে, বাড়িটি বহু পুরনো হয়ে যাওয়ায় চতুর্দিকে ফাটল ধরেছিল। সে সব জানিয়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে পুরসভা থেকে শুরু করে স্থানীয় কাউন্সিলরকে বারে বারে বাড়ির আবেদন করেও প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছু মেলেনি বলে অভিযোগ ওই বৃদ্ধের আত্মীয় স্বজনদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে বাড়ি ভেঙে পড়তেই চিৎকার করতে থাকেন প্রভাতবাবু। তাঁর চিৎকারে পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মাটি সরিয়ে উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। এর পরে চিকিৎসার জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রভাতবাবুর ডান হাত ভেঙে গিয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন। মেয়ে মৌমিতা রায় চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘বাড়ির অবস্থা খুব খারাপ ছিল বলে পুরসভাকে বাড়ি তৈরির আবেদন করেছিল বাবা। কিন্তু, পুরসভা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আজ বাবার দুর্ঘটনা ঘটে গেল।’’
স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলর শিবনাথ রায়ের দাবি, ওই বৃদ্ধের বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি বাড়ি তৈরির লিস্টেও ওঁর নাম রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি কর দেওয়া হত। তাঁর কথায়, ‘‘তার আগে এমন দুর্ঘটনায় আমরাও মর্মাহত।’’ বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন সুশান্ত ভকত বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। এমন হলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”
স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলর শিবনাথ রায়ের দাবি, ওই বৃদ্ধের বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি বাড়ি তৈরির লিস্টেও ওঁর নাম রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি কর দেওয়া হত। তাঁর কথায়, ‘‘তার আগে এমন দুর্ঘটনায় আমরাও মর্মাহত।’’ বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন সুশান্ত ভকত বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। এমন হলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy