বোলপুরে বৈঠকে প্রশাসনের কর্তারা। রয়েছেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
বিশ্বভারতীর তরফে বুধবার বিকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবি করা হল, মেলার মাঠ ঘিরে ফেলা সম্পর্কে বিভিন্ন জায়গায় যে যে বক্তব্য উঠে আসছে তা অমূলক। বিশ্বভারতী পাঁচিল তুলছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েই। এতে সকালবেলায় যাঁরা প্রাতঃভ্রমণে আসেন বা সারাদিন যে ছাত্রছাত্রী বা স্থানীয় মানুষরা মেলার মাঠে খেলতে আসেন তাঁদের কোনও অসুবিধা হত না। চার ফুটের পাঁচিলের উপরে তিন ফুটের রেলিং কোনও ভাবেই বিশ্বভারতীর নান্দনিকতাকে বিনষ্ট করত না বলেই দাবি করা হয়েছে।
বিশ্বভারতী জানিয়েছে, প্রস্তাবিত পাঁচিলে মোট সাতটি প্রবেশদ্বার তৈরির কথা বলা হয়েছিল। যার দুটি ২২ ফুট এবং বাকি পাঁচটি ১২ ফুট চওড়া। একই সঙ্গে বিশ্বভারতীর দাবি মেলার মাঠের একটি অংশে বিবিধ অসামাজিক কাজকর্মের নানা নমুনা পাওয়া যায়। এগুলিকে রুখতেই মেলার মাঠ ঘিরে দেওয়া আবশ্যক বলে বিশ্বভারতীর দাবি।
জেলা প্রশাসনের ডাকা বৈঠকে না যাওয়া প্রসঙ্গেও নিজেদের বক্তব্য প্রেস বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছে বিশ্বভারতী। প্রথমত, মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর আধিকারিক, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং ভবনের অধ্যক্ষদের নিয়ে একটি বৈঠকে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেন বোলপুর মহকুমাশাসকের দফতরে বুধবারের বৈঠকে না গিয়ে উপাচার্যের উচিত জেলাশাসক ও অন্য সরকারি আধিকারিকদের বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে এই বিষয়ে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো। কারণ, ক্যাম্পাসের মধ্যেই শান্তিনিকেতন থানা থেকে মাত্র কুড়ি মিটার দূরে দিনের আলোয় সমস্ত ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটেছিল।
দ্বিতীয়ত, বুধবারের প্রশাসনের ডাকা বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন সে বিষয়ে একটি তালিকা প্রশাসনিক স্তর থেকেই তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বভারতী মনে করে, আশ্রমিক, পড়ুয়া, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের একটি তালিকা তাঁদেরও তৈরি করা উচিত ছিল। তৃতীয়ত, বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকের স্থান ও সময় সম্পর্কে উপাচার্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি বলে বিশ্বভারতীর অভিযোগ। বৈঠকের মাত্র এক দিন আগে জেলাশাসকের তরফ থেকে জানানো হয় উপাচার্যকে। অভিযোগ বিশ্বভারতীর।
চতুর্থত, বিশ্বভারতীতে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা সোমবারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। এক জন বিধায়ক ও দুই বিদায়ী কাউন্সিলরের নেতৃত্বে যে ভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, সেই পরিস্থিতি ঠিকভাবে বুঝতে হলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান শোনা প্রশাসনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রশাসনিক কর্তাদের উচিৎ বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসেই বৈঠক করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy