প্রতীকী ছবি
গত রবিবার রাতে পুরুলিয়ার ঝালদায় মহিলা-খুনে ব্যবহৃত ভোজালি উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার খুনের অভিযোগে ধৃত রমেশ রজককে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালানো হয়। একটি ঝোপ থেকে রক্তমাখা ভোজালিটি উদ্ধার হয়। এ দিন প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ।
ঝালদার বাসিন্দা ওই মহিলাকে রবিবার রাতে তাঁরই শ্বশুরবাড়ির সামনে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বাসিন্দা রমেশের বিরুদ্ধে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলার সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ ছিল রমেশের। সম্পর্কচ্ছেদ করায় তাঁকে খুন করে রমেশ। নিহতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রমেশকে সোমবার গ্রেফতার করে পুলিশ। পুরুলিয়া আদালতের নির্দেশে সে এখন পুলিশ হেফাজতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলায় রমেশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখানে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। রমেশ তদন্তকারীদের জানায়, খুন করার পরে, সে ভোজালিটি ছুড়ে একটি ঝোপের মধ্যে ফেলেছিল। সেই ঝোপ থেকেই উদ্ধার হয় ভোজালিটি। ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় ভিড় করেছিলেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।
বছর ২০ আগে বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। পুলিশের দাবি, রমেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাঁর। ওই মহিলার জন্য রমেশ একটি বাড়িও তৈরি করে দিয়েছিল। পরে রমেশের সঙ্গে বিবাদের জেরে ছেলেকে নিয়ে তিনি রাঁচী চলে গিয়েছিলেন। সেখানে এক বন্ধুর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে রাঁচী গিয়েছিলেন রমেশ। তার অভিযোগ, সেখানে তাকে মারধর করে ওই মহিলার পরিচিত কয়েকজন।
রবিবার ওই মহিলা ঝালদায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি ফিরেছিলেন। অভিযোগ, রাতে ছেলে এবং মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোলে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে রমেশ। পুলিশের দাবি, খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ওই মহিলার ছেলে এবং মেয়ে। তাঁরা বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, নিহতের স্বামী ভিন্-রাজ্যে কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy