Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
অডিট বিভাগের চিঠি
Visva-Bharati University

Visva-Bharati University: বিশ্বভারতীতে প্রশ্ন একাধিক নিয়োগ নিয়ে

কলকাতায় দফতরের শাখা অফিস থেকে গত বছরের ২৫ মার্চ পাঠানো ওই চিঠিতে বিভিন্ন পদে পাঁচ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের পাঠানো চিঠি।

কেন্দ্রীয় অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের পাঠানো চিঠি। নিজস্ব চিত্র।

বাসুদেব ঘোষ 
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২২ ০৮:২৮
Share: Save:

বিশ্বভারতীর একাধিক নিয়োগে নিয়ম মানা হয়নি বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারেরই অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগ।

২০১৯-’২০ আর্থিক বছরের অডিট করতে গিয়ে এই ধরনের একাধিক অনিয়ম নজরে এসেছে জানিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছে ডিরেক্টর জেনারেল অব অডিটের দফতর।

কলকাতায় দফতরের শাখা অফিস থেকে গত বছরের ২৫ মার্চ পাঠানো ওই চিঠিতে বিভিন্ন পদে পাঁচ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই চিঠি নিয়ে বিশ্বভারতীর অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, চিঠিতে প্রথমেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে ২০১৪ সালের ১১ জুন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ নিয়ে। কেন্দ্রীয় অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের দাবি, নথি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে বিজ্ঞাপন অনুযায়ী ওই পদে নিয়োগের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছিল ৩৫। অথচ যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে আবেদন করার সময়েই তাঁর বয়স ছিল ৪১। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘আবেদনপত্র বাছাইয়ের সময় ওই আবেদন বাতিল তো করা হয়ইনি, উপরন্তু তাঁকে নিয়োগ করা হয়। অথচ বিশ্বভারতীর নিয়ম অনুযায়ী সিলেকশন কমিটির বয়সের ক্ষেত্রে এমন ছাড়পত্র দেওয়ার কোনও অধিকার নেই।’’

ওই একই দিনে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পদে আরও এক জনের নিয়োগ নিয়ে গরমিলের অভিযোগ তোলা হয়েছে চিঠিতে। আগে থেকেই বিশ্বভারতীর সেকশন অফিসার পদে কর্মরত ৩৯ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তিকে কী ভাবে ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বসীমা ভেঙে নিয়োগ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিঠিতে।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, কেবল বয়স নয়, নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রেও নিয়ম ভেঙে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই চিঠিতে। জানানো হয়েছে, ১৯৯৮ সালে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কাম টাইপিস্ট পদে যোগ দেওয়া এক ব্যক্তি একাধিক পদোন্নতির পরে ২০১২ সালে সেকশন অফিসার হন। তাঁকে ২০১৪-র ৩১ অক্টোবর অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ করা হয়। চিঠিতে অভিযোগ, ওই পদের জন্য সেকশন অফিসার হিসেবে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজনীয় হলেও তাঁকে নিয়ম ভেঙে সেখান থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও ২০১৬ সালে কোনও শূন্যপদ, বিজ্ঞাপন ও যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে দু’জনকে নিয়োগের অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই চিঠিতে। বলা হয়েছে, ডেপুটি রেজিস্ট্রারের জন্য শূন্য পদ ছিল একটিই। ২০১৪ সালে তাতে এক জন যোগ দেওয়ার পরে বাকি দু’জনকে ‘নিয়ম বহির্ভূত’ ভাবে নিয়োগ করা হয়। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশ না মেনেই স্থায়ী উপাচার্যের অনুপস্থিতিতেই এই নিয়োগ হয় বলেও নথি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই চিঠি পাওয়ার পরেও এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। যেহেতু এই নিয়োগগুলি নিয়ম মেনে হয়নি, তাই কর্তৃপক্ষকে আবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে অডিট বিভাগের চিঠিতে।

অন্য বিষয়গুলি:

Visva-Bharati University Central Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy