ঠিক যেমনটা চেয়েছিল বীরভূম জেলা পুলিশ। মোমো গেমের আমন্ত্রণ পেয়ে তেমনটাই করে দেখালেন কলেজ ছাত্রী দেবদ্যুতি বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার আশুতোষ কলেজে জার্নালিজম ও মাস কমিউনিকেশন অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী আদতে দুবরাজপুর রঞ্জনবাজারের বাসিন্দা। গেম খেলার আমন্ত্রণ পেয়ে আতঙ্কিত না হয়ে পুলিশকে লিখিত ভাবে জানানো, হোয়াটস অ্যাপে ‘টু লেয়ার সিকিউরিটি’ অন করা— সবটাই করেছেন ওই ছাত্রী। এমনকী নম্বর ব্লক করার আগে মেসেজের স্ক্রিন-শট নিতেও ভোলেননি।
ঠিক কী ঘটেছিল?
দেবদ্যুতি বলেন, ‘‘শুক্রবার বিকেলে হোয়াটস্অ্যাপে অপরিচিত নম্বর থেকে ‘মোমো’ খেলার আমন্ত্রণ আসে। তখনই ডিপি সহ আসা মেসেজে-র স্ক্রিন শট নিয়ে রাখি। দু’এক জন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেই পুলিশকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিই। রাত ন’টায় ফের ওই নম্বর থেকে গেম খেলার আমন্ত্রণ পাওয়ার পরেই নম্বর ব্লক করে দিই। অন করে দিই ‘টু লেয়ার সিকিউরিটি’ও। শনিবার দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করি।’’
মারণ গেম ‘মোমো চ্যালেঞ্জ’ খেলার আবেদন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অনেকেই পেয়েছেন। ভয় পেলেও পুলিশের কাছে যেতে চাননি অনেকেই। আবার মেসেজ পেয়েই পুলিশের কাছে লিখিত জানিয়েছেন অনেকে। পুলিশও যথেষ্ট সাহায্য করেছে। এ রকম ঘটনা যার সঙ্গে হোক না কেন, আতঙ্কিত না হয়ে পুলিশকে জানানো দরকার— লিফলেট ছাপিয়ে এমন বার্তাও দিয়েছে বীরভূম জেলা পুলিশ। ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতে ছাপানো লিফলেট যে কোনও অনলাইন আত্মঘাতী কিংবা হিংসাত্মক খেলা থেকে কী ভাবে বিরত থাকা যায় ও সতর্কতা নেওয়া যায় সে সব লিখেছে পুলিশ।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মোমো আদতেও কোনও গেম নয়। এর পিছনে রয়েছে সাইবার ক্রাইম। এই গেমের লিঙ্ক এ ক্লিক করলে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে। হিংসা, এমনকি আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করে। ব্যবহারকারী নানা রকমের হয়রানির শিকার হতে পারেন। ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট হয়ে যেতে পারে, ‘হ্যাকিং’-এর দৌলতে। ফলে ঠিক পথেই হেঁটেছেন ওই ছাত্রী। স্মার্ট ফোন, গেম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আচ্ছন্ন তরুণ প্রজন্মের কাছে এই সচেতনতাই চাইছে জেলা পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy