১৭০টির মধ্যে সবে দু’টি মাত্র পঞ্চায়েত নির্মল ঘোষণা করল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। সে দিনই রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কমিশনার সেই জেলায় এসে সব ক’টি পঞ্চায়েতকেই নির্মল করতে ছ’মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে গেলেন।
রবিবার মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে কাশীপুর ব্লকের কাশীপুর ও বড়রা এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্মল ঘোষণা করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে দফতরের কমিশনার দিব্যেন্দু সরকার বলেন, ‘‘রাজ্যে এই প্রকল্পে ৯০ শতাংশ কাজ হয়েছে, আর পুরুলিয়ায় তার অর্ধেক ৪৫ শতাংশ। অনেক এগোতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা চাইছেন, তা করতে গণসচেতনতার প্রয়োজন। শুধু দু’টি পঞ্চায়েত নির্মল হলেই হবে না। আগামী ছ’মাস চ্যালেঞ্জ নিয়ে জেলার ১৭০টি পঞ্চায়েতকেই আপনাদের নির্মল করতে হবে।’’
জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘জেলার জন্য এই দিনটি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে জেলার প্রথম এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতই আমরা নির্মল হিসেবে ঘোষণা করলাম। তবে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর এই দুই পঞ্চায়েতকে এখনই নির্মল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।’’
কমিশনার বলেন, ‘‘আপনারা নিজেদের নির্মল জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, এ জন্য আমি আনন্দিত। কিন্তু এরপরেও নির্মলোত্তর কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতি মেনে নির্মল হিসেবে ঘোষণা করা হবে। দেখতে হবে কত মানুষ শৌচাগার ব্যবহার করছেন।’’
কমিশনার জানান, নদিয়া ভারতে প্রথম নির্মল জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তার পরে রাজ্যের আরও ন’টি জেলা নির্মল হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রকল্পে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই-তৃতীয়াংশ নির্মল হয়েছে। ২৫ হাজার গ্রাম নির্মল হয়েছে। কিন্তু পুরুলিয়া এখনও অনেকটাই পিছনে। খোলা মাঠে শৌচকর্ম যে কতটা বিপজ্জনক তা সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে আরও বেশি করে বোঝানো দরকার। তার জন্য চ্যালেঞ্জ নেওয়া দরকার, গনসচেতনতার প্রয়োজন।’’ ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া আধিকারিকদের আশ্বাস দেন, কাশীপুর ব্লকের বাকি ১১টি পঞ্চায়েত আগামী দু’মাসের মধ্যে নির্মল করা হবে।
কমিশনার জানান, এই প্রকল্পের কোনও উপভোক্তা চাইলে নিজে পছন্দমতো শৌচাগার তৈরি করতে পারেন। যাচাই করে তাঁকে ওই প্রকল্পে বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। কোচবিহার, মালদহে অনেকেই নিজেরা শৌচাগার তৈরি করেছেন। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুও কমিশনারের মতকেই সমর্থন করেন।
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘মানসিকতা বদলে ফেলতে হবে দ্রুত। ওই সময়-সীমার আগেই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। এটাই এখন আমাদের সবার কাছে
পাখির চোখ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy