পড়ুয়ার সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। মিড ডে মিল বন্ধ প্রায় এক বছর। —নিজস্ব চিত্র।
খোদ প্রধানশিক্ষকই স্কুলে গরহাজির। তা-ও নয় নয় করে প্রায় কয়েক মাস হল। তাই মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত স্কুলের পড়ুয়ারা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু তিনিও মিড ডে মিল নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি। এ ভাবেই চলছে পুরুলিয়া জেলার ঝালদা-২ ব্লকের বড়রোলা উচ্চ বিদ্যালয়।
ওই স্কুল সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ দিন স্কুলে আসেন না প্রধানশিক্ষক রাজীব মাহাতো। অন্য দিকে, প্রধানশিক্ষক না থাকায় স্কুল পরিচালনা করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাকিদের। কোনও কাজই ঠিকমতো হচ্ছে না। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক তারালাল মুড়া বলেন, ‘‘অসুবিধা তো হচ্ছেই।’’ এ কারণেই স্কুলের প্রায় ১,৭০০ ছাত্র মিড ডে মিল পাচ্ছে না।
২০০০ সালে এই জুনিয়র স্কুলের পথ চলা শুরু হয়েছে। শিক্ষকের সংখ্যা ১৬ জন। ২০০৯-’১০ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক এবং ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে উন্নীত হয় বড়রোলার এই স্কুল। সমস্যার কথা জানতে চাইলে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক তারালাল বলেন, ‘‘করোনার পর যখন থেকে স্কুল খোলা হয়েছে, তখন থেকেই মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রধানশিক্ষক অনুপস্থিত থাকার কারণেই এই সমস্যা।’’ তিনি জানান, দুর্গাপুজোর ছুটির আগে এক বার প্রধানশিক্ষক স্কুলে এসেছিলেন। তার পর আর আসেননি।
কিন্তু তিনি তো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি কি পড়ুয়াদের মিড ডে মিল শুরু করতে পারেন না? তারালালের জবাব, ‘‘প্রশাসন দায়িত্ব দিলে নিশ্চয়ই আমরা মিড ডে মিল চালু করতে পারব।’’ তা ছাড়া, স্কুলের ভবন নির্মাণের কাজ-সহ পরিকাঠামো বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কেন মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত হবে এতগুলো পড়ুয়া? যোগাযোগ করা হয় পুরুলিয়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক গৌতমচন্দ্র মালের সঙ্গে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy