আড়শার পুয়াড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
এ বার পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে ‘ঘাঁটি বাঁধা’র কথা ঘোষণা করে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার পড়ল। বৃহস্পতিবার সকালে পাহাড়তলিতে আড়শার পুয়াড়া পঞ্চায়েত অফিসের গেটের দু’দিকের দেওয়ালে লাল কালিতে হাতে লেখা পোস্টারগুলি সাঁটানো ছিল। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘কারা এর পিছনে রয়েছে, এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।’’
গত রবিবার ‘আসল মাওবাদী’দের চাকরি দেওয়ার দাবি তুলে সিপিআই (মাওবাদী) লেখা পোস্টার মিলেছিল ঝালদার খামার এলাকায়। সোমবার অঝোধ্যা পাহাড়ের রাঙা গ্রামের কাছে উদ্ধার হওয়া একই ধরনের পোস্টারে লেখা ছিল ‘খেলা হবে ২০২১-এ’। সে দিন বলরামপুর ও কোটশিলা থানা এলাকাতেও কিছু পোস্টার উদ্ধার হয়েছিল।
সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া পোস্টারগুলিতে জঙ্গলমহলে ভোট বয়কট, কৃষিআইন বাতিল করা, স্কুল-কলেজ খোলার মতো বিভিন্ন দাবি তোলা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, প্রতি বারই পোস্টারে মাওবাদীদের অযোধ্যা প্ল্যাটুনের দায়িত্বে থাকা বিক্রমের গ্রেফতারের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে দায়ী করে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, একদা মাওবাদী স্কোয়াডে থাকা ওই ব্যক্তি এখন স্পেশাল হোমগার্ডের কাজ পেয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো আগেই জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন জায়গায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার মেলায় একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। সোমবার আড়শার যে এলাকা থেকে পোস্টার উদ্ধার হয়েছে, অতীতে সেখানে মাওবাদীদের আনাগোনা ছিল। পুয়াড়ার অদূরে, কাঁটাডি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পুলিশ শিবিরে হানা দিয়ে বন্দুক লুট করেছিল তারা।
গোয়েন্দাদের একটি সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে পাহাড়ের একটি গ্রামে কিছু লোক মিটিং করেছিলেন। সেই গ্রামটি আড়শা থানার আওতায় পড়ে। কে বা কারা মিটিং করেছেন, ঘটনায় আদৌ মাওবাদী যোগ রয়েছে কি না, তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তা ছাড়া, গত ডিসেম্বরের শেষে কিছু লোকজন নিজেদের ‘মাওবাদী লিঙ্কম্যান’ দাবি করে সরকারি প্যাকেজের সুবিধা চেয়ে সরব হয়েছেন। চলতি মাসের গোড়ায় জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সরকারি প্যাকেজ না পেলে ফের ‘পুরনো জীবনে’ ফিরে যাবেন। সে ঘটনার সঙ্গে এই পোস্টারগুলির কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা-সূত্রের খবর।
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘পোস্টারের বিষয়টি পুলিশ দেখছে। তবে রাজ্যে পালাবদলের পরে কতটা উন্নয়ন হয়েছে, সেটা পাহাড় এবং জঙ্গলমহলের মানুষ জানেন। কেউ অস্থিরতা তৈরি করতে চাইলে মানুষ মেনে নেবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy