রামপুরহাট ভাঁড়শালা রাস্তায় আনাজ কিনতে নামল ঢল। শুক্রবার সকালে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই সংক্রমণে রাশ টানতে শহরের প্রধান বাজার সহ মোট চারটি বাজার অন্যত্র সরানো হল।
শুক্রবার সকালে রামপুরহাট পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন অশ্বিনী তিওয়ারি জানান, হাটতলা এলাকার আনাজ বাজার, ফল বাজার এ বারে ছ’ফুঁকো থেকে সানঘাটাসেতু বাইপাস রাস্তার ধারে সরানো হচ্ছে। ওই জায়গাতেই ডাকবাংলা পাড়া
বাজারের যাঁরা রাস্তার ধারে বসতেন তাঁদেরকেও সরানো হচ্ছে। ভাঁড়শালাপাড়া বাজার দুনিগ্রাম রোডে জয়কৃষ্ণপুর
দিঘির পাড়ে সরানো হচ্ছে। রেলপাড়ের বাজারও রেলওয়ে চ্যাম্পিয়ন গ্রাউন্ডে সরানো হচ্ছে।
লকডাউনের প্রাথমিক পর্বে রামপুরহাট শহরের এই চারটি বাজারকে সরানো হয়েছিল। কিন্তু, আনলক-পর্বে ছাড়ের
সীমা বাড়তেই জুন মাসে বাজারগুলি ফের নিজের জায়গায় ফেরানো হয়। এমনকি ভাঁড়শালাপাড়া এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোনের পাশেই বাজার বসতে দেখা গিয়েছে। সেখানে কোনও স্বাস্থ্যবিধি, দূরত্ব বিধি না মেনে যথেষ্ট ভিড় হতেও দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট হাটতলা এলাকায় তিন করোনা
পজিটিভ সন্ধান মিলতেই আনাজ বাজার থেকে ফলের দোকান, সোনার দোকান, স্টেশনারি দোকান, মাছ বাজার বন্ধ রাখার
কথা বৃহস্পতিবার রাতেই মাইকে প্রচার করে প্রশাসন।
এ দিকে, এক দিনের নোটিসে বাজার বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে হাটতলার ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার সকাল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে হাটতলা এলাকায় আড়তদাররা খুচরো বিক্রেতাদের আনাজ বিক্রি করে দেন। আড়তদাররা জানান, বুধবার লকডাউন ছিল। আবার শনিবার লকডাউন হবে। সেই কারণে আড়তদাররা বেশি বেশি করে আনাজ আনার অর্ডার দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতের
মধ্যে সেই অর্ডার দেওয়া মাল চলেও এসেছিল। কিন্তু, সকালে
বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্ত, কাঁচামাল পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় যে যেমন দর পেয়েছেন খুচরো বিক্রেতাদের বিক্রি করে দিয়েছেন। আবার খুচরো বিক্রেতারা
হাটতলায় বসতে না পেরে নিজের নিজের এলাকায় আনাজ বিক্রি করেন। কেউ কেউ পুরসভার মাঠে আনাজ বিক্রি করেন।
হাটতলা এলাকার মাছ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল ধীবর বলেন, ‘‘শনিবার লকডাউনের জন্য অনেকেই শুক্রবার মাছ কিনবেন, এই আশায় বেশি মাছ অর্ডার দেওয়া ছিল। কিন্ত, বাজারে ঢুকতে না পেরে বাইরে খুচরো বিক্রেতাদের সস্তা দামে মাছ বিক্রি করতে হয়েছে।’’ ফল ব্যবসায়ী শম্ভু ভকত জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসন থেকে বাজার বন্ধ রাখার মাইকিং করার খবর পাওয়ার পরে সকল খুচরো ব্যবসায়ীদের ফোনে শুক্রবার সকালে বাজারে আসতে মানা করে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল প্রভাবিত রামপুরহাট হাটতলা আনাজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উমেশ প্রসাদ ভকত জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা শত অসুবিধা হলেও মেনে চলার জন্য সকল ব্যবসায়ীকে বলা হয়েছে। মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাজারে বিক্রেতাদের মাস্ক এবং গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ক্রেতারা মাস্ক না পড়ে আসলে দ্রব্য কিনতে দেওয়া হবে না বলেও মন্ত্রী জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy