ধৃত এক জনকে আদালতে হাজির করাচ্ছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
দু’দিনের মধ্যে দুই থানা এলাকায় দু’জনকে খুনের অভিযোগে তিন জনকে ধরল পুলিশ। পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, একটি চক্রই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। সবাইকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর বাড়ির অদূরে একটি জঙ্গলের মধ্যে গলার নলিকাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় সাঁইথিয়ার সাহাপুর গ্রামের রুবাই হেমব্রম নামে বছর পঁয়তাল্লিশের এক ব্যক্তির দেহ। পাশে তার সাইকেলটিও পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। যদিও তাঁর মোবাইলটি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ব্যক্তি আগের দিন বিকেলে আমোদপুরে আনাজ কিনতে গিয়ে আর ফেরেননি।
অন্য দিকে, ১৫ সেপ্টেম্বর লাভপুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের ৪৩ বছরের রবীন্দ্রনাথ টুডুর নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয় স্থানীয় শ্রীকৃষ্ণপুর-ধোওয়াডাঙা রাস্তার ধারে। ওই ব্যক্তিও আগের দিন বিকালে আমোদপুরে ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি।
পুলিশ সুপার জানান, খুনের কায়দা একই রকম দেখে তদন্তকারীরা অনুমান করেন দু’টি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। সেই মতো তদন্ত চালিয়ে বিভিন্ন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিন জনের নাম পায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম শিবা চক্রবর্তী, রুদ্রপ্রসাদ বাগদি এবং সব্যসাচী দত্ত। প্রত্যেকের বাড়ি আমোদপুর সংলগ্ন এলাকায়।
এমন জোড়া খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিহতদের বাড়ি দুই থানা এলাকায় হলেও দূরত্ব মেরে কেটে কিলোমিটার চারেক। রবীন্দ্রনাথের মেজো ভাই দিলীপ এবং রুবাইয়ের এক সম্পর্কিত ভাই জীবন সোরেন জানিয়েছেন, খুন হয়ে যাওয়ার মতো কোন ঘটনার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত থাকতে পারেন বলে মনে হয়না।
রুবাইয়ের স্ত্রী অঞ্জলি এবং এবং রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী দাসী টুডু দু’জনেই জানিয়েছেন, দিনমজুরির উপরে নির্ভর করে তাঁদের সংসার চলত। কেন তাঁদের স্বামীদের খুন করা হল তা নিয়ে তাঁরা ধোঁয়াশায়। পুলিশ জানায়, ধৃতরা জেরায় দাবি করেছে তারা জড়ো হয় ছিনতাই করতে। ওই দু’জন তাদের চিনতে পেরে যায় বলে খুন করা হয় বলে ধৃতেরা দাবি করেছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। পুলিশ সুপার জানান, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy