মনিরুল ইসলাম।
জরিনা বিবির নাতি-নাতনিদের মারধরের অভিযোগ উঠল লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। উল্টে, অভিযোগকারীদেরই পুলিশ আটক করেছে। মঙ্গলবার লাভপুরের ঘটনা।
২০১০ সালে লাভপুরের নবগ্রামে মনিরুল ইসলামের বাড়িতে খুন হন জরিনা বিবির তিন ছেলে জাকের আলি, অইসুদিন শেখ এবং কোটন শেখ। ওই হত্যাকাণ্ডে মনিরুল, তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত যাদব শেখ-সহ মোট ৫১ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরেও ২০১৪ সালে মনিরুল-সহ অভিযুক্তদের ২২ জনকে বাদ রেখেই আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। চার্জশিটে নাম নেই যাদব শেখেরও।
এ দিন ওই যাদবেরই লোকজন লাভপুরের আভাডাঙা হাইস্কুলের পড়ুয়া জরিনা বিবির নাতি-নাতনি মজিদা খাতুন, ছোট্টু শেখ, চম্পা খাতুন, টুম্পা খাতুন, সুরজ শেখ এবং ইব্রাহিম শেখকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তখনকার মতো শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পরে যাদব শেখের নেতৃত্বে এক মোটর বাইক বাহিনী জরিনা বিবির ছেলে সানোয়ার শেখের লাভপুরের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পুলিশি হস্তক্ষেপে তারা পিছু হঠে। থানায় অভিযোগ করতে গেলে সানোয়ারের দুই ছেলে সুরজ এবং ইব্রাহিমকেই পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ।
এ দিন ফোনে সানোয়ার দাবি করেন, ‘‘গোপন জবানবন্দি দিয়ে চার্জশিট থেকে নাম কাটাতেই মনিরুলের অনুগামী যাদব শেখের লোকজন আমাদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের উপর চড়াও হয়েছিল। তার পরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাইকে চেপে বাড়ি ঘিরে ফেলে। পুলিশ এসে ওদের সরিয়ে দিলেও আমাদের দুই ছেলেকে অন্যায় ভাবে আটক করেছে। অথচ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।’’ এ ব্যাপারে অবশ্য মনিরুল এবং যাদবের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের অবশ্য দাবি, ‘‘অভিযোগ ঠিক নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy