ছবি: পিটিআই।
ফুলকপি ও বাঁধাকপি মাঠেই পড়ে রয়েছে। বাজারে দাম না-পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে মুরারইয়ের কপি চাষিরা। রবিবার মুরারই আনাজ বাজারে দশ টাকায় তিনটে ফুলকপি বিকিয়েছে। চাষিদের দাবি, রফতানি না হওয়ায় এই সমস্যা। প্রশাসনের আশ্বাস, চাষিরা সঠিক মূল্য পান, তার ব্যবস্থা করা হবে।
বাঁশলৈ নদীর ধারে, রূপরামপুর ,শ্রীনিবাসপুর,বলিয়া, কামদেবনালা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ হয়। কিন্তু, এ বছর ফলন অতিরিক্ত হওয়ায় দাম একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। স্থানীয় চাষিরা বলছেন, ‘‘ফুলকপি ও বাঁধাকপি দশ টাকায় তিনটে বা চারটে করে বিক্রি করে হচ্ছে। এর ফলে চাষের খরচই উঠছে না, লাভ তো দূরের কথা!’’
তাঁরা জানান, এক বিঘে জমিতে ফুলকপি চাষ করতে বীজ, সার, শ্রমিক মিলিয়ে খরচ প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি হাজার টাকা। এই অবস্থায় প্রশাসনের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানানোর কথা ভাবছেন তাঁরা।
চাষি নরেশ কোনাই, টিঙ্কু মোল্লারা বলেন, ‘‘প্রশাসন এই এলাকার ফুলকপি ও বাঁধাকপি রফতানির বন্দোবস্ত করলে এতটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তাম না। চাষের জন্য মহাজনের কাছে অনেকটা টাকা ধার করেছিলাম। কেমন করে শোধ করব জানি না।’’ তাঁদের ক্ষোভ, প্রশাসন থেকে চাষের জন্য বীজ ও সার কোনও কিছুই দেওয়া হয় না।
নরেশের কথায়, ‘‘এখন যে পরিস্থিতি, ফুলকপি পিস প্রতি দু’টাকাতেও কেউ কিনতে চাইছেন না। মাঠের ফসল মাঠেই পড়ে আছে।’’ স্থানীয় পলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জীব রবিদাস বলেন, ‘‘বাঁশলৈ ও মুরারই আনাজ বাজারে আমদানি বেশি হওয়ায় চাষিরা দাম পাচ্ছেন না। জেলায় বিষয়টি জানানো হবে।’’
দাম না পাওয়ার কথা মানছেন আধিকারিকরাও। রামপুরহাট মহকুমা উদ্যানপালন আধিকারিক মিলন বেসরাও মানছেন, এ বছর ফলন খুব ভাল হওয়ায় চাষিরা দাম পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে এসেছে। তবে চাষিদের বলব একই সময় ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ না করতে। বরং অল্প অল্প করে সারা বছর চাষ করলে চাষিদের মুনাফা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy