বিএসএফ-বিজিবির (বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ) সমন্বয়ে সীমান্তে দু’দেশের কিছু মানুষ আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন শুক্রবার। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে উদ্বেগে রয়েছেন অনেকে। সে দেশের কিছু মানুষের ভারত-বিরোধী মন্তব্যে দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কে ধাক্কা লেগেছে বলেও অনেকে মনে করছেন। তবে, এই আবহেও বিএসএফ-বিজিবির (বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ) সমন্বয়ে সীমান্তে দু’দেশের কিছু মানুষ আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন শুক্রবার।
বাগদার গাঙ্গুলিয়া সীমান্ত গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল খালিদ মণ্ডল অসুস্থ হয়ে মারা যান বৃহস্পতিবার। বিএসএফ তাঁর দেহ এনে রাখে মুস্তাফাপুর সীমান্তের জ়িরো পয়েন্টে। উপস্থিত ছিলেন বিজিবি জওয়ানেরাও। বাংলাদেশের গ্রাম থেকে এসে মৃত বৃদ্ধকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলেন তাঁর বোন ও পরিজনেরা। অনেকের মোবাইলে বন্দি হল সেই মুহূর্তের ছবি।
বিএসএফ জানিয়েছে, গাঙ্গুলিয়ার পঞ্চায়েত সদস্য বিএসএফ ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডারকে বৃদ্ধের কথা জানান। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম সর্দার বারিপোতাতে বসবাস করেন মৃতের বোন। তিনি প্রয়াত দাদাকে শেষ বিদায় জানাতে চান বলেও পঞ্চায়েত সদস্য বিএসএফ-কে জানান। এই অনুরোধের তাৎপর্য উপলব্ধি করে কোম্পানি কমান্ডার পদক্ষেপ করেন। বিজিবি-র সঙ্গে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক সীমান্তের জ়িরো পয়েন্টে মৃতের বোন এবং আত্মীয়দের শেষ দর্শনের ব্যবস্থা হয়।
মৃতের পরিবারের সদস্যেরা দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মৃতের বোনের কথায়, ‘‘দাদার মৃত্যুর খবর পাওয়ায় পর থেকেই তাঁকে শেষ বার দেখার জন্য মন ছটফট করছিল। কিন্তু পাসপোর্ট, ভিসা নিয়ে দ্রুত ও দেশে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কষ্ট পাচ্ছিলাম। বিএসএফ-বিজিবির মানবিকতার কারণে দাদাকে শেষ বার দেখতে পেরেছি।’’
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, বিএসএফ জওয়ানেরা শুধুমাত্র দিনরাত সীমান্ত পাহারা দেন না। বরং, আন্তর্জাতিক সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের মানবিক ও সামাজিক চাহিদা পূরণের জন্যেও তাঁরা প্রস্তুত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy