Advertisement
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
Purulia Weather

ঠান্ডায় দার্জিলিঙের পরেই পুরুলিয়া

ডিসেম্বরের গোড়ায় ঠান্ডা বাড়লেও বড়দিনের আগে কিছুটা কমে গিয়েছিল। তখন বিক্রিবাটা কমে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন দু’জেলার শীতবস্ত্র বিক্রেতারা।

পুরুলিয়ায় শীতবস্ত্র কিনতে ভিড় বেড়েছে। শনিবার।

পুরুলিয়ায় শীতবস্ত্র কিনতে ভিড় বেড়েছে। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩৮
Share: Save:

রাজ্যের শীতলতম স্থানের তকমা থেকে শনিবার অল্পের জন্য পিছিয়ে গেল পুরুলিয়া। শনিবার পুরুলিয়ার তাপমাত্রা নেমেছিল ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ দিন রাজ্যের শীতলতম স্থানের তকমা পায় শৈলশহর দার্জিলিং (৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। শুক্রবার অবশ্য পুরুলিয়া ছিল রাজ্যের শীতলতম স্থান (৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। তারপরেই ছিল দার্জিলিং (৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। পড়শি জেলা বাঁকুড়ার স্থান আরও পরে। সেখানে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও কাঁপুনি অবশ্য কমেনি।

ডিসেম্বরের গোড়ায় ঠান্ডা বাড়লেও বড়দিনের আগে কিছুটা কমে গিয়েছিল। তখন বিক্রিবাটা কমে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন দু’জেলার শীতবস্ত্র বিক্রেতারা। ঠান্ডা ফেরায় ক্রেতা বেড়েছে। তাই তাঁরাও খুশি। পুরুলিয়া শহরের জিইএল চার্চের মাঠে চলছে খাদি মেলা। বীরভূমের মাড়গ্রাম থেকে মেলায় পোশাক নিয়ে আসা আলি জাক্কার শনিবার বলেন, ‘‘যত মাফলার এনেছিলাম, সব ফুরিয়ে গিয়েছে।’’ মেলার উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের কর্মকর্তা পরেশ পাল জানান,
অধিকাংশ দোকানেই শীতের পোশাকের বিক্রি এত বেড়ে গিয়েছে যে মজুত প্রায় শেষ।’’

পুরুলিয়া শহরের চাঁইবাসা রোডের শীতবস্ত্র ব্যবসায়ী বসন্ত খেডিয়া ও বরাকর রোডের বস্ত্র ব্যবসায়ী অশোক সারাওগি বলেন, ‘‘বড়দিনের সময় থেকে শীত কমে গিয়েছিল। ফের শীত পড়ায় শীতবস্ত্রের বিক্রিবাট্টা বেড়েছে।’’ পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে ইউনিয়ন ক্লাবের মাঠে ফি বছর শীতের আগেই শীতবস্ত্রের পসরা নিয়ে ভিন্‌ রাজ্যের ব্যবসায়ীরা আসেন। তাঁদের মধ্যে প্রদীপ মাঝি ও সুশীল মাঝি বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের শেষের দিকে মজুত ফুরিয়ে আসায় আমরাও পাততাড়ি গুটিয়ে ফেলি। এ বার শীত ফিরে আসায় আরও কয়েকটা দিন ব্যবসা করতে থেকে যাচ্ছি।’’

বাঁকুড়ায় শীত তুলনায় কম বলে শীতবস্ত্র বিক্রি বিশেষ বাড়েনি। বাঁকুড়ার সুভাষ রোডের ব্যবসায়ী সুব্রত সেন বলেন, “গড়পড়তা বিক্রি হচ্ছে। শীত বাড়লেও ব্যবসায় প্রভাব বিশেষ পড়ছে না।” গোবিন্দনগরের ব্যবসায়ী হবিবুর শেখ জানান, বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয়েরা রাতে হাসপাতাল চত্বরে থাকার জন্য কম্বল কিনতে আসছেন। এর বাইরে বিক্রি নেই বললেই চলে।’’ লেপ-তোষকের বিক্রিবাটাও তেমন জমেনি। বিষ্ণুপুরের কুরবানতলার লেপ-তোষক বিক্রেতা শেখ নুর মহম্মদ বলেন, “বিষ্ণুপুর মেলার আগে শহরে লেপ-তোষক কেনার হিড়িক পড়ে। এ বছর ওই সময়ে শীত তেমন পড়েনি। তাই বিক্রিবাটাও জমেনি। এখন মরসুমের মাঝে শীত জাঁকিয়ে পড়লেও ব্যবসা আর বাড়েনি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Darjeeling purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy