অনাস্থায় অপসারিত হলেন মঙ্গলদা-মৌতোড় পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধান ও উপপ্রধান। মঙ্গলবার প্রধান চন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার তলবিসভা ছিল। বুধবার ছিল উপপ্রধান পরাণ বাউরির বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার তলবি সভা। রঘুনাথপুর মহকুমাশাসক দেবময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মৌতোড় পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এসেছিল। সভাগুলিতে উপস্থিত সদস্যরা অনাস্থার পক্ষে মত দেওয়ায় দু’জনেই অপসারিত হয়েছেন।’’ ফলে রঘুনাথপুর ২ ব্লকে আরও এক পঞ্চায়েতের দখল হারাল সিপিএম। এক সময় সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এই ব্লকে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে শক্তি বেড়েছে তৃণমূলের। দীর্ঘকাল সিপিএমের দখলে থাকা মঙ্গলদা-মৌতোড় পঞ্চায়েতে সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে চার সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে ১২ সদস্যের ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ৮।
সম্প্রতি ওই আট সদস্য সিপিএমের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। দু’টি তলবি সভাতেই চন্দ্রাণীদেবী এবং পরাণবাবু-সহ সিপিএমের চার সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের আট সদস্য সবাই অনাস্থার পক্ষে মত দেন। এ দিকে অনাস্থা সভা হবে কি না তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। অনাস্থা প্রস্তাব আসার পরেই সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে বিডিওর কাছে আবেদন করেন প্রধান ও উপপ্রধান। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘ওঁরা ইস্তফা দিতে চেয়ে আবেদেন করেছিলেন। কিন্তু পদত্যাগপত্র জমা পাড়ার আগেই অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ায় পঞ্চায়েত আইন অনুয়ায়ী তলবি সভা ডাকা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy