আদ্রা স্টেশনে সিপিএমের বিক্ষোভ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকায় লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আদ্রা ডিভিশনের পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় তা চালু না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। এ নিয়ে মঙ্গলবার পথে নামল বামফ্রন্ট। সরব হয়েছে বিজেপিও।লোকাল ট্রেন চালানো শুরু না হওয়ায় এ দিন আদ্রা ডিভিশনের কয়েকটি স্টেশনে বিক্ষোভ অবস্থান করে বামফ্রন্ট। একই সঙ্গে আদ্রায় ডিআরএমের কাছে লোকাল ট্রেন শুরুর দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে সিপিএম। দল সূত্রের খবর, এ দিন আদ্রা, পুরুলিয়া, মুরাড্ডি, ইন্দ্রবিল ও কাঁটাডি স্টেশনে বিক্ষোভ অবস্থান চলে। সর্বত্রই স্টেশন ম্যানেজারদের মাধ্যমে আদ্রার রেল কর্তৃপক্ষের কাছে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছে সিপিএম।
লোকাল ট্রেন চালানো ছাড়া, পুরুলিয়া থেকে ভেল্লুপুরম এক্সপ্রেসটিকে চালানোরও দাবি জানিয়েছে বামফ্রন্ট। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসার জন্য় দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই ও ভেল্লোরে যান। পাঁচ বছর আগে এই ট্রেনটি চালানো শুরু হয়েছিল। লকডাউনের পর থেকেই ট্রেনটি বন্ধ করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সিপিএমের পুরুলিয়ার জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, ‘‘পুরুলিয়া ভেল্লুপুরম এক্সপ্রেস বন্ধ থাকায় চিকিৎসার কারণে দরকার হয়ে পড়লেও পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার লোকজন দক্ষিণ ভারতে যেতে পারছেন না। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি, ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে চালানোর দাবি রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” তবে আদ্রার রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, লোকাল বা এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় জ়োনাল কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত ডিভিশনে আসেনি।
বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার রেল যাত্রীদের রাজ্য সরকার বঞ্চিত করেছে বলে এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ তোলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। আদ্রা ডিভিশনে ট্রেন চালানোর জন্য দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার ও রাজ্য প্রশাসনের মুখ্য সচিবকে চিঠি দেন সুভাষবাবু। এ দিন সেই চিঠি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, রূপসীবাংলা এক্সপ্রেস-সহ মোট ১৩টি লোকাল, মেমু ও এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছি।
সুভাষবাবুর অভিযোগ, ‘‘বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় লোকসভা ভোটে জিততে পারেনি বলেই তৃণমূল এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সমস্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমি দাবি তুলেছি, কম সংখ্যায় হলেও প্রত্যেকটি এলাকায় ট্রেন চালানো হোক। তাতে অন্তত জরুরি ভিত্তিতে মানুষ পরিষেবা পাবেন।’’ তবে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরার পাল্টা দাবি, ‘‘ট্রেন চালায় কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে রাজ্যের উপরে দায় চাপাচ্ছে। আসলে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদেরা উদ্যোগী না হওয়ায় এই বঞ্চনা। ট্রেন না চলার প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
তবে রেল সূত্রের খবর, আদ্রা ডিভিশনে লোকাল ট্রেন না চললেও ইতিমধ্যেই কিছু স্পেশাল ট্রেন চলতে শুরু করেছে। কয়েকটি দুরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনকে স্পেশাল ট্রেন হিসেবে চালানো হচ্ছে। সে ট্রেনগুলি চলাচলের কারণে কিছু কর্মব্যস্ততা আছে রেলকর্মীদের মধ্যে। তা ছাড়া, মঙ্গলবার থেকে দীপাবলি ও ছট স্পেশাল হিসেবে দু’টি ট্রেন চালানো শুরু হয়েছে। রেলের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, স্পেশাল ট্রেন ও মালগাড়ি চালানোর জন্য় প্রয়োজনীয় কর্মীদের স্টেশনে কাজে যেতে বলা হয়েছে। তবে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে এ দিন পর্যন্ত কোনও নির্দেশ আদ্রা ডিভিশনে আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy