•মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় সাংস্কৃতিক চর্চার একটা বিশেষ অবদান আছে। পঞ্চায়েত সমিতির একটি কমিউনিটি হল আছে। মাথার উপর টিনের ছাউনি থাকায় সাউন্ড সিস্টেম সমস্যা আছে। কমিউনিটি হল ছাড়া আলাদা করে পাইকরে একটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম তৈরির ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতি কী ভাবছে? এ ছাড়া পাইকরে পাল যুগের অনেক মূর্তি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সমস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনগুলি সংরক্ষণের ব্যাপারে সমিতি কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
রুপনাথ রায়, পাইকর
সভাপতি: কমিউনিটি হলটি দীর্ঘ দিনের। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়া, পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং পারিবারিক অনুষ্ঠানে হল ব্যবহার হয়। সেক্ষেত্রে কমিউনিটি হলের পাশ দিয়ে নিকাশি নালা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইলেকট্রিক সংযোগ ব্যবস্থা না থাকার জন্য জেনারেটরের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হয়। ইলেকট্রিক সংযোগের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। পানীয় জলের সুবিধার জন্য যন্ত্র চালিত পাম্প বসানো হয়েছে। পাইকরে খেলার মাঠে অডিটোরিয়াম করে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি এক জায়গায় করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ দিয়ে কমিউনিটি হলের সংস্কার করে অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
•এলাকায় প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে পঞ্চায়েত সমিতি কী ভূমিকা নিয়েছে? পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় জঞ্জাল ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার জন্য বিশেষ করে পাইকরে যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলে নিকাশি নালা বুঝে যাচ্ছে।
অনুপম মুখোপাধ্যায়, পাইকর
সভাপতি: প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য এলাকায় এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যত্রতত্র জঞ্জাল যাতে না পরে থাকে তার জন্য সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে জঞ্জাল মুক্ত শহর বা গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নির্মল বাংলা অভিযানের মাধ্যমে সম্প্রতি বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য এলাকায় শপথ নেওয়া হয়েছে।
•পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় এখনও সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছয়নি। পাইকরে পৌঁছলেও পাইপলাইনে ফুটো থাকার জন্য পরিস্রুত পানীয় জলে নোংরা দূষিত জল মিশে যাচ্ছে। এর ফলে অনেক সময় পেটের রোগ দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়াও পাইকর এলাকায় নিয়মিত অনেক জায়গায় ট্যাপ কল থেকে অনবরত জল বেরিয়ে যাওয়ার জলের অপচয় হচ্ছে। আবার জল সরবরাহের সময়গুলিতে অল্প সময় পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু থাকছে। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে জল নিয়ে হাতাহাতিও হচ্ছে।
উমা পোড়েল, পাইকর
সভাপতি: পঞ্চায়েত সমিতির অধীন ন’টি পঞ্চায়েতের মধ্যে পাইকর ১, আমডোল, রুদ্রনগর— এই তিনটি পঞ্চায়েতে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে। পাইকরে পাইপলাইন মেরামতির জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে একাধিক বার জানান হয়েছে। আবার গ্রামাঞ্চলে নলকূপ সংস্কারের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সমিতিকে এখন টাকা দেওয়া হয় না। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে নলকূপগুলি সংস্কারের কাজ করা হয়। পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের সময় বাড়ানোর জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরির আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব।
• ইদ, কুরবানি, দুর্গাপুজো, মহরম, কালীপুজো, ভাইফোঁটা এই সমস্ত উৎসবের দিনগুলি একের পর চলে গেল, অথচ ১০০ দিন প্রকল্পে শ্রমিকেরা তাদের বকেয়া মজুরি পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত সমিতি এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? এ ছাড়া ১০০ দিন প্রকল্পে নতুন করে জবকার্ড হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সমিতি এ ব্যাপারেই বা কী ভাবছে, একটু জানান।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, রুদ্রনগর
সভাপতি: ১০০ দিন প্রকল্পে ১৪-১৫ আর্থিক বছর থেকে শুরু করে ১৫-১৬ ও ১৬–১৭ আর্থিক বছরে সব মিলিয়ে শ্রমিকরা মজুরি বাবদ প্রায় ছ’ কোটি টাকা পাবে। এ ছাড়াও মেটেরিয়াল যোগানের পয়সা অনেকে পায়নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনে একাধিক বার জানান হয়েছে। নতুন জব কার্ড তৈরির বিষয়টিও ইতিমধ্যেই জেলাশাসককে জানান হয়েছে।
•পাইকর থেকে সিউড়ি সরকারি বাস পরিবহন ব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন কি?
স্বপন রায়, পাইকর
সভাপতি: পাইকর থেকে সিউড়ি যাওয়ার জন্য সরাসরি সরকারি বাস চালু করার প্রস্তাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর সঙ্গে আমিও সহমত পোষন করে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনব।
•পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা— এই সমস্ত প্রকল্পে নতুন করে উপভোক্তাদের নাম অর্ন্তভুক্ত হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা ওই সমস্ত প্রকল্পে উপভোক্তা ছিলেন তাঁদের নাম প্রাপকদের তালিকা থেকে বাদ পড়ে গিয়েছেন।
রজব সেখ, পাইকর
সভাপতি: প্রথমত বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, এই সমস্ত প্রকল্পের উপভোক্তা ঠিক হয় দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী তালিকায় তাঁদের স্কোর অনুযায়ী। বর্তমানে নতুন করে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি বন্ধ আছে। পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৩৮৬ জন আগে ভাতা পেত। এখন তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ চলে গিয়েছে। জেলা প্রশাসনকে একাধিক বার অভিযোগ করা হয়েছে।
•এলাকার ৯টি পঞ্চায়েতের মধ্যে কেবলমাত্র পাইকর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্মল বাংলা প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি শৌচাগার নির্মাণের কাজ চলছে। বাকি ৮টি পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা শৌচাগারের নির্মাণের জন্য ৯০০ টাকা করে দেওয়া সত্ত্বেও এখনও ওই সমস্ত এলাকায় শৌচাগার নির্মাণ হয়নি।
ওসমান গণি, রুদ্রনগর
সভাপতি: বাড়ি বাড়ি শৌচাগার নির্মাণ প্রকল্পের জেলা প্রশাসনের নির্দেশে চলছে। পাইকর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে চলছে। অন্যান্য গ্রামগুলিতেও শুরু হবে।
•পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় এখনও অনেকের আধার কার্ড হয়নি। অনেক জায়গায় ব্যাঙ্ক নেই। এর ফলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা থেকে এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
মনসুদ হাসান, পাইকর
সভাপতি: আধার কার্ড তৈরির কাজ চলছে। ব্যাঙ্কিং পরিষেবা উন্নত করার জন্য প্রশাসনের নজরে আনা হবে।
• পাইকর এলাকায় রাস্তার ধারে পিডব্লু রোডসের একটি জায়গা আছে। ওই এলাকায় স্টেডিয়াম বা খেলার মাঠ গড়ে তোলা হোক।
মহা মল্লিক, পাইকর
সভাপতি: সর্বপরি ওই এলাকা দখলমুক্ত করতে হবে। পরবর্তী তে খেলার মাঠ বা স্টেডিয়াম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত শীর্ষ মহলের।
•পাইকর ফাঁড়ি থেকে থানা করার ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতি কী ভাবছে?
সাইরুল সেখ, রুদ্রনগর
সভাপতি: এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
•পাইকরে শিশু উদ্যান বা খেলার পার্ক নেই।
সুপ্রিয়া চট্টোপাধ্যায়, পাইকর
সভাপতি: শিশু উদ্যান বা পার্ক গড়ে তোলার জন্যে ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ের জায়গা ঘেরা হয়েছিল। আগামীদিনে কার্যকর করা যায় কিনা দেখা যাক।
•এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট খারাপ। বিশেষ করে মহিষবাথান থেকে গোপালপুর রাস্তা নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যে ভেঙে পড়েছে।
সামসুদ্দিন সেখ, গোয়ালমাল
সভাপতি: এলাকার বিভিন্ন রাস্তা প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় নির্মান হচ্ছে। জেলাপরিষদ দেখভাল করছে রাস্তার কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy