নিজস্ব চিত্র
কুড়মি সমাজের প্রধান আন্দোলন তোলার কথা বললেও নতুন করে আবার জটিলতা তৈরি হয়েছে পুরুলিয়ার কুস্তাউরে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতেও এখনও অবরোধ ওঠেনি। সেখানে কুড়মিদের নেতা জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও দাবিই এখনও পূরণ হয়নি। সে ব্যাপারে স্পষ্ট বার্তা না পাওয়া পর্যন্ত যে আন্দোলন চলবে, তা-ও প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কথায়। সূত্রের খবর, কুড়মি সমাজের মূল নেতাদের সঙ্গে সাধারণ বিক্ষোভকারীদের মতভেদের কারণেই পরিস্থিতি অন্য দিকে বাঁক নিয়েছে।
পাঁচ দিনের অচলাবস্থার পর শনিবার বেলার দিকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন কুড়মি সমাজের প্রধান নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো। তিনি জানান, উৎসবের মরসুমে মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা করে আন্দোলন তোলা হয়েছে। অজিতের কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সঙ্গে আমাদের লড়াই আরও চলবে। এমন নয় যে, এখন প্রত্যাহার করলাম বলে আর আন্দোলন করব না। ফুর্তি করতে তো আর আন্দোলন করছি না। দাবি নিয়ে আগামী দিনে প্রয়োজন হলে আবার লড়াইয়ে নামব।’’ তা সত্ত্বেও কুস্তাউর স্টেশনে থাকা বিক্ষোভকারীদের একাংশ আন্দোলন তুলতে নারাজ। নেতৃত্বের ঘোষণা পরেও তাঁরা রেল ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি থেকে পিছু হঠেননি। এখনও অনেকে রেললাইনের উপর বসে রয়েছেন। বিদ্রোহীদের এক নেতা সুরেশ মাহাতো বলেন, ‘‘দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’’
অজিতের ঘোষণা পরেও একই পরিস্থিতি খেমাশুলিতে। সেখানকার কুড়মি সমাজের রাজ্য সম্পাদক রাজেশ মাহাতো জানান, পুরুলিয়ায় নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে ব্যাপারে তাঁরা এখনও কিছু জানতে পারেননি। রাজেশের কথায়, ‘‘এখনও আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। পুরুলিয়া থেকে আদৌ আন্দোলন উঠেছে কি না, তা জানা নেই। যদি ওখানে আন্দোলন উঠে গিয়ে থাকে, তা হলে ওখানকার নেতাদের কাছ থেকে জানতে চাই, সরকারি ভাবে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে কি না। আমরাও এখানে পাঁচ দিন ধরে পড়ে রয়েছি। সেটাও বোঝা দরকার সকলের। অবরোধের জেরে আটকে পড়া গাড়ির চালক আর খালাসিদের খাবারের সমস্যা হচ্ছে। আমাদের এখানে যা খাবার আছে, তা থেকেই ওঁদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা মানবিক, পাশবিক নই। শান্তিপূর্ণ ভাবেই আন্দোলন করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy