প্রতীকী ছবি।
আজ, বুধবার থেকে পুরুলিয়া ও কলকাতার মধ্যে বাস চলাচল শুরু করতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। জেলার মধ্যে বাস চালানোর ব্যাপারে এগোতে মঙ্গলবার বাস মালিক সংগঠনকে নিয়ে বৈঠকে বসে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। বাস মালিকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে শীঘ্রই প্রশাসনকে মতামত জানাবেন।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার পুরুলিয়া ডিপোর ইনচার্জ ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘বুধবার থেকে পুরুলিয়া-কলকাতা একটি বাস চালু হচ্ছে। বাসটি সকাল ৬টায় পুরুলিয়া থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে। কলকাতা পৌঁছে ধর্মতলা থেকে দুপুর সওয়া ২টোয় ফের পুরুলিয়া রওনা দেবে।’’
পুরুলিয়ায় এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত পাওয়া যায়নি। ভিন্ জেলা থেকে পুরুলিয়ায় লোকজন এলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। ১৪ দিন ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকতে বলা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কলকাতা থেকে আসা বাসযাত্রীদেরও কি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে? এ নিয়ে অবশ্য জেলা প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট বক্তব্য এ দিন পাওয়া যায়নি। ইন্দ্রজিৎবাবু সদুত্তর দিতে পারেননি। রাতে জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘কন্টেনমেন্ট জ়োন থেকে কেউ বেরোতে পারবেন না। ফলে, ‘ক্লিন’ জ়োন থেকে কেউ বাসে উঠতে পারেন।’’
সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনেকেই কলকাতা ফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। যথাস্থানে তা জানাব।’’ দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যালের সুপার সুকোমল বিষয়ী মতে, ‘‘বাইরে থেকে কেউ এলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার।’’
এ দিন দুপুরে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মুফতি শামিম সওকত ও জেলা পরিবহণ আধিকারিক নীলেশ দে-র সঙ্গে জেলা বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে বৈঠকে ‘গ্রিন জ়োন’-এর বিধি মেনে অবিলম্বে জেলার অভ্যন্তরে বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু করার জন্য বাস মালিকদের প্রতিনিধিদের জানানো হয়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পরিবহণ দফতর সম্প্রতি জানিয়েছে, বাসে যত যাত্রী বহনের অনুমতি (পারমিট) রয়েছে, সেই অনুযায়ী বাস চালানো যাবে। অবশ্যই সে ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাস শুধু জেলার মধ্যেই চালাতে হবে। ঝাড়খণ্ডে কোনও বাসের রুট থাকলে, তা জেলার সীমানা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যাবে। এ দিন বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সে কথা জানানো হয়।
বৈঠকের পরে পুরুলিয়া জেলা বাস মালিকদের সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘পুরুলিয়ার অবস্থান ঝাড়খণ্ড লাগোয়া হওয়ায় জেলার অনেক বাস ঝাড়খণ্ডের কিছু জায়গায় যায়। এই বাসগুলি বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে যাবে না। জেলার অভ্যন্তরেই চালানো হবে। কিন্তু যাত্রী তোলা নিয়ে কিছু বাস্তব সমস্যা রয়েছে। সে কথা প্রশাসনের আধিকারিকদের জানিয়েছি।’’
সূত্রের খবর, জেলা বাস মালিক সমিতি প্রশাসনের কাছে শুক্রবার পর্যন্ত সময় চেয়েছে। তবে তার মধ্যে কোনও মালিক যদি রুটে বাস নামাতে চান, তা হলে মালিকদের সংগঠনের তরফে কোনও আপত্তি থাকবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুরুলিয়া জেলা পরিবহণ আধিকারিক নীলেশ দে বলেন, ‘‘বাস মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিধি মেনে রুটে বাস চালানোর প্রস্তুতি চলছে।’’
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা ইতিমধ্যে জেলার চারটি রুটে বাস পরিষেবা শুরু করেছে। ইন্দ্রজিৎবাবু জানান, পুরুলিয়া-মানবাজার, পুরুলিয়া-অযোধ্যাপাহাড় ও পুরুলিয়া-ডিসেরগড় ঘাট— এই তিনটি রুটের বাসগুলি দিনে দু’বার করে যাতায়াত করছে। বাকি পুরুলিয়া-ঝালদা রুটের বাসটি এক বারই যাতায়াত করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy