—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ঝালদা পুরসভার তহবিল আটকে দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কিত মামলার শুনানি আজ, সোমবার হাই কোর্টে হতে পারে। কিন্তু ইতিমধ্যে যে সব দলীয় পুরপ্রতিনিধির সহমতের ভিত্তিতে কংগ্রেসের উপপুরপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু মামলাটি দায়ের করেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
যদিও মামলা চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। রবিবার তিনি জানান, ঝালদা পুরবাসীর স্বার্থে তহবিল আদায়ে দরকারে দলের দুই পুরপ্রতিনিধিকে নিয়েই হাই কোর্টে আইনি লড়াই চালাবে কংগ্রেস।
কিছুদিন আগে কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং দলের বাকি পুরপ্রতিনিধিদের সহমতের ভিত্তিতে উপপুরপ্রধান কংগ্রেসের পূর্ণিমা কান্দু মামলাটি দায়ের করেন। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী জানান, আজ, সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে মামলাটির শুনানি রয়েছে।
কিন্তু গত বুধবার রাতে (৬ সেপ্টেম্বর) শীলা ও কংগ্রেসের চার পুরপ্রতিনিধি ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন। রবিবার শীলা জানান, ওই মামলা থেকে তাঁরা (তিনি ও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া চার পুরপ্রতিনিধি) সরে আসবেন। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার তহবিল নিয়ে আর কোনও সমস্যা হবে না বলে আমার বিশ্বাস। তাই আমরা মামলা থেকে সরে আসব।’’ যদিও মামলাকারী পূর্ণিমার দাবি, ‘‘দলীয় সিদ্ধান্ত মতোই ওই মামলা চালিয়ে যাওয়া হবে।’’
পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল বলেন, ‘‘ওই মামলার সঙ্গে ঝালদার পুরবাসীর স্বার্থ জড়িয়ে। তাই প্রয়োজনে দলের দুই পুরপ্রতিনিধিকে নিয়েই আইনি লড়াই জারি থাকবে।’’
যদিও তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা নেতৃত্ব গোড়া থেকেই তহবিল আটকে দেওয়ার অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। জেলা তৃনমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ।
ইতিমধ্যে মামলাটির শুনানি করতে গিয়ে স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (সুডা) কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে হাই কোর্ট। নেপাল এবং কৌস্তভ দু’জনেরই অভিযোগ, গত নভেম্বরে সুডার তরফে হাউজ ফর অল প্রকল্পে ঝালদা পুরসভাকে মোট তিন কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিছু টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু অনাস্থায় তৃণমূল পুরসভার ক্ষমতা হারানোর পরেই হঠাৎ বাকি টাকা ফেরত নেওয়া হয়।’’ যদিও তৎকালীন পুরপ্রধান তৃণমূলের সুরেশ আগরওয়ালের দাবি, ‘‘কোনও টাকাই ফেরত যায়নি।’’
এ দিকে শীলা ছাড়া তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কংগ্রেসের চার পুরপ্রতিনিধিকে রবিবারও এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন তাঁদের পড়শিরা। তাই এ নিয়ে নানা জল্পনা চলছে শহরের বিভিন্ন মহলে। এক পুরপ্রতিনিধির পরিবারের তরফে তাঁকে জোর করে আটকে রাখারও মৌখিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, এই মর্মে এ দিন বিকেল পর্যন্ত কোনও
অভিযোগ হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy