Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Water Tank

ট্যাঙ্কের জল চুঁইয়ে ভাসছে বাসস্ট্যান্ড

জীর্ণ ট্যাঙ্কের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা যায়। পাশেই সারি সারি দোকান।

বেহাল: ঝালদা বাসস্ট্যান্ডের কাছের সেই ওভারহেড ট্যাঙ্ক। নিজস্ব চিত্র

বেহাল: ঝালদা বাসস্ট্যান্ডের কাছের সেই ওভারহেড ট্যাঙ্ক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪৭
Share: Save:

ঝালদা বাসস্ট্যান্ডের কাছেই জলের ট্যাঙ্কটি রয়েছে। প্রায়ই খসে পড়ে চাঙড়। এখন এলাকার লোকজনের ভয়, কোনও দিন বড়সড় অঘটন না ঘটে যায়।

জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৭সালে শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ওই ট্যাঙ্কটি তৈরি করা হয়। জলধারণ ক্ষমতা ছ’লক্ষ একাশি হাজার লিটার। কোটশিলা থানা এলাকার মুরগুমা জলাধার থেকে নলবাহিত পরিস্রুত জল ওই ট্যাঙ্কের মাধ্যমেই বর্তমানে ঝালদা শহরের ওয়ার্ডগুলিতে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এখন এমন অবস্থা, ট্যাঙ্কের গা থেকে জল চুঁইয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চলে আসে।

জীর্ণ ট্যাঙ্কের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা যায়। পাশেই সারি সারি দোকান। গা ঘেঁষেই রয়েছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের অফিস। রয়েছে প্রাথমিক স্কুল। স্থানীয় দোকানদার তাপস চন্দ্র বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার ওই ঘটনায় ট্যাঙ্কটা ফাঁকা জায়গায় ছিল বলে প্রাণহানি ঘটেনি। ঝালদার ট্যাঙ্কটা যেখানে রয়েছে, সেখানে গিজগিজে বসতি। কিছু হলে বিপদের শেষ থাকবে না।’’

ট্যাঙ্কের কাছের সর্বজনীন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অরবিন্দ গড়াই বলেন, ‘‘প্রায়ই চাঙড় খসে পড়ে। পড়ুয়াদের নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকি। তবুও মাঝে মধ্যেই পড়ুয়ারা ওই দিকটায় চলে যায়।’’ শহরের বাসিন্দা দেবীদাস চন্দ্র, রাজা হাজরারাও বলেন, ‘‘সব সময়ে ভয়ে ভয়ে থাকি।’’

ঝালদার পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘সমস্যার কথা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে অনেক বার জানানো হয়েছে। কোনও হেলদোল নেই। শেষে দিন কয়েক আগে জেলাশাসককে চিঠি লিখেছি।’’ অবিলম্বে ট্যাঙ্কের কিছু একটা করা দরকার বলে জানাচ্ছেন তিনিও। জেলা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পুরুলিয়ার নির্বাহী বাস্তুকার (সিভিল) আশুতোষ দাস বলেন, ‘‘বুধবার বিশেষজ্ঞ দল ওই ট্যাঙ্ক পরীক্ষা করেছেন। তাঁদের দেওয়া রিপোর্ট হাতে এলেই পদক্ষেপ করা হবে।’’

কিন্তু দুশ্চিন্তা নিয়ে আর কত দিন কাটাবে ঝালদা, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Water Tank Jhalda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE