ঢুকছেন পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ আর অন্যদিকে পড়ুয়াদের দীর্ঘ আন্দোলন। দুইয়ের চাপে বিশ্বভারতীতে ধাপে ধাপে খুলতে শুরু করেছে ছাত্রাবাসগুলি। তবে সমস্যা এখনও রয়েই গিয়েছে। হস্টেল খুলে গেলেও পড়ুয়াদের দেখা নেই খুব বেশি। এক সপ্তাহ পার হওয়ার পরেও হাতে গোনা কয়েক জন পড়ুয়াই হস্টেলে প্রবেশ করেছে। বেশ কিছু হস্টেল তো শুক্রবারও তালা বন্ধই থেকেছে। প্রোক্টর অফিস সংলগ্ন নিচুবাংলো ছাত্রাবাসে রয়েছেন মাত্র দুই জন পড়ুয়া। এর প্রধান কারণ হিসেবে উঠে আসছে অনলাইন পরীক্ষার ঘোষণা এবং গোটা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা।
নবাগত পড়ুয়াদের থাকার সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেই প্রথম হস্টেল খোলার দাবি জানিয়েছিল পড়ুয়াদের একাংশ। কিন্তু লাগাতার আন্দোলনের চাপে কর্তৃপক্ষ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইনে আয়োজনের কথা ঘোষণা করায় অনেক পড়ুয়াই বাড়ি থেকে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে হস্টেলের তাৎক্ষণিক চাহিদা কমে গিয়েছে অনেকটাই।
অন্যদিকে, বিগত বছরগুলিতে হস্টেলে ঘর বিতরণের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি বেসরকারি সফটওয়্যার ব্যবহার করত বলে জানা গিয়েছে, যেখানে পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বাড়ির দূরত্ব, জাতি ভিত্তিক, আর্থিক বা শারীরিক অক্ষমতা ভিত্তিক সংরক্ষণ ইত্যাদি তথ্য প্রদান করা হলেই সমস্ত নিয়ম মেনে হস্টেল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কারা অগ্রাধিকার পাবে, সেই তালিকা প্রদান করত ওই সফটওয়্যার। কিন্তু এই বছর সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় এবং সমস্ত পড়ুয়াদের একত্রে তালিকা প্রস্তুত না করায় গোটা প্রক্রিয়াটি অনেক ধীর গতিতে সম্পন্ন হচ্ছে বলে পড়ুয়াদের একাংশের দাবি। তবে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে অনেক পড়ুয়াই হস্টেলে চলে আসবেন বলে জানাচ্ছেন কর্মীরা।
হস্টেলে পড়ুয়া কম আসায় রান্নাঘর খোলাও এই মুহূর্তেই সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এক আধিকারিক। তিনি আরও জানান, হস্টেলের রান্নাঘরের টেন্ডার সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া প্রায় শেষ, পর্যাপ্ত পড়ুয়া এলেই রান্নাঘর চালু করে দেওয়া হবে। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা হস্টেলগুলি যে আবার প্রাণ ফিরে পেতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy