ফুলের ব্যাপক চাহিদার কারণে জন্মাষ্টমীর দুপুরেই কার্যত ফাঁকা সিউড়ির ফুলের দোকানগুলি —নিজস্ব চিত্র।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জেলা জুড়ে ফুলের দাম আকাশছোঁয়া। তবে তা দমিয়ে রাখতে পারেনি ক্রেতাদের। দাম বাড়লেও অতিরিক্ত চাহিদার জেরে জেলা সদরের ফুলের বাজারে কার্যত আকাল তৈরি হল বৃহস্পতিবার। তালনবমী উপলক্ষে এ দিন সিউড়ির বাজারে তালের বিক্রিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ দিন সকাল ১১টার মধ্যেই ফুলের দোকানগুলি এক রকম ফাঁকা হয়ে যায় সিউড়িতে। গাঁদা ফুলের মালা, রজনীগন্ধা বা গোলাপের গোছা— বেলা ১১টার পর আর সিউড়ির বাজারে মেলেনি কিছুই। ফুল শেষ হয়ে যাওয়ায় এ দিন দুপুর ১২টার মধ্যেই অধিকাংশ ফুল বিক্রেতাই দোকান বন্ধও করে দেন। অনেক ক্রেতাকেই এ দিন ফুল না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে দেখা যায়। এই ব্যাপক চাহিদার কারণেই এ দিন ফুলের দামও অন্য দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল।
সিউড়ির মুখ্য ডাকঘরের সামনের একটি নার্সারির মালিক রাজা গুপ্ত জানান, গাঁদা ফুলের যে মালা দৈনিক ১০ টাকা দামে গোটা সিউড়ি বাজারে পাওয়া যায়, এ দিন সেই মালাই ২৫-৩৫ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়েছে। দিন দুয়েক আগেও যেখানে রজনীগন্ধা ১৫০-১৮০ টাকা কেজি দরে তাঁরা কিনেছেন, বুধবার থেকে সেই রজনীগন্ধার মূল্য দাঁড়িয়েছে কেজি প্রতি ৪৫০ টাকা।
এর পাশাপাশি গোলাপ, জারবেরা-সহ অন্য ফুলের দামও প্রায় দ্বিগুণ ছিল এ দিন। তবে জন্মাষ্টমী মিটে গেলেও এখনই ফুলের দাম কমার সম্ভাবনা কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। রাজা বলেন, “সামনেই বিশ্বকর্মা পুজো ও গণেশ চতুর্থী আসছে। এই দুই পুজোতেই ফুলের ভালই চাহিদা থাকে। তাই আগামী অন্তত সপ্তাহ দু’য়েক ফুলের দাম উপরের দিকেই থাকার সম্ভাবনা বেশি।”
ফুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে তালও। সিউড়ির আনাজ বাজারে এ দিন অনেক আনাজ বিক্রেতাই আলু, পটলের সঙ্গে তালের পসরা সাজিয়েছিলেন। শুধু সিউড়ি কোর্টবাজার থেকেই এ দিন শতাধিক তাল বিক্রি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। তালের আকার অনুযায়ী ৫০-৮০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়েছে এক একটি তাল।
বিক্রেতাদের অবশ্য দাবি, তালের চাহিদা আর আগের মতো নেই। আগে গ্রামের দিকে অনেক সহজেই পাকা তাল মিলত। তার পরেও জন্মাষ্টমীর সময়ে তালের চাহিদা থাকত প্রচুর। কিন্তু এখন, অনেক বাড়িতেই আর তালের বড়া বা তালের লুচি তৈরি হয় না। ফলে চাহিদাও আগের তুলনায় কমেছে অনেকটাই। তবে বড় শহরগুলিতে যেমন মিষ্টির দোকান বা অন্যত্র রেডিমেড তালের বড়া বিক্রি হয়, সেই প্রবণতা সিউড়িতে এখনও খুব একটা শুরু হয়নি। কয়েকজন ঘরোয়া ভাবে এগুলি বিক্রি করলেও, আগ্রহী মানুষদের সিংহভাগ এখনও বাজারে গিয়ে মিশকালো তাল খুঁজে, তার পিছনে দিনভর সময় ব্যয় করে, সেই তালের বড়া বানাতেই বেশি উৎসাহী। তাঁরাই এ দিন তাল কিনে নিয়ে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy