Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

খাবারে শুকনো ভাত, ঝামেলা অঙ্গনওয়াড়িতে

ঘুনেপাড়া আশ্রমপল্লি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপভোক্তাদের একাংশের অভিযোগ, শুক্রবার ওই কেন্দ্রে খাবার নিতে গিয়ে দেখা যায় শুধু ভাত দেওয়া হচ্ছে। তাতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন ওই কেন্দ্রের সহায়ক রূপা দত্ত।

অসন্তোষ: খাবার শুধু ভাত। তা নিয়েই ক্ষোভ বাগদিপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

অসন্তোষ: খাবার শুধু ভাত। তা নিয়েই ক্ষোভ বাগদিপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ০০:৩৫
Share: Save:

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খেতে বসেছেন মায়েরা। অভিযোগ, তাঁদের থালায় শুধু দেওয়া হয় ভাত, মাড়। শুক্রবার তা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় সিউড়ির বারুইপাড়ার বাগদিপাড়ার ঘুনেপাড়া আশ্রমপল্লি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। অভিযোগ, অভিভাবকদের একাংশের হাতে নিগৃহীত হন ওই কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা। বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে তাঁদের জবাব, ‘‘প্রশাসন টাকা দেয়নি। খাবার দেব কী ভাবে?’’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিউড়ি থানার পুলিশ। সেখানে পৌঁছন দুবরাজপুরের সিডিপিও (সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক) প্রবীর বিশ্বাস। তিনি সিউড়ি ১ ব্লকের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, শুধু ওই একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রই নয়, সময়মতো সাম্মানিক ও বিলের টাকা না পাওয়ায় সিউড়ি ১ ব্লকের অন্য সব কেন্দ্রেই এ দিন শুধু ভাতই দেওয়া হয়।

ঘুনেপাড়া আশ্রমপল্লি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপভোক্তাদের একাংশের অভিযোগ, শুক্রবার ওই কেন্দ্রে খাবার নিতে গিয়ে দেখা যায় শুধু ভাত দেওয়া হচ্ছে। তাতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন ওই কেন্দ্রের সহায়ক রূপা দত্ত।

উপভোক্তা মাধবী ধীবর, মিঠু বাগদি, দিশা বাগদি, পূজা বাগদি বলেন, ‘‘আমরা কি খেতে পাই না যে শুধু মাড় আর ভাত দেওয়া হবে। এই কেন্দ্রের কর্মী মাঝেমধ্যে আসেন।।’’ রূপাদেবী বলেন, ‘‘আমাকে এই কেন্দ্রের কর্মী শুধু ভাত দিতে বলেছেন। তাই দিয়েছি। আমার কাছে আনাজ, ডিম থাকে না। ও সব থাকে কর্মী মর্জিনা বিবির কাছে।’’ খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় সিউড়ি থানার পুলিশ এবং সিডিপিও। ডাকা হয় মর্জিনা বিবিকে। তিনি এবং আরও আশপাশের কয়েক জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সেখানে গিয়ে সাম্মানিক ও বিলের টাকা না পাওয়ায় অভিযোগে পাল্টা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়।

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বক্তব্য, প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, ডাল, নুন ও তেল দেওয়া হয়। আনাজ, ডিম তাঁরা নিজেরা কিনে মাসের শেষে বিল জমা দেন। তার পরে মেলে টাকা। তাঁদের অভিযোগ, এ মাসে তাঁরা বিলের টাকা বা সাম্মানিক পাননি। তাই শুধু ভাত দিতে বাধ্য হয়েছেন। দিনদু’য়েক আগে এই সমস্যার কথা প্রশাসনের কাছে তাঁরা লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। তাঁরা জানান, বৃহস্পতিবার খিচুড়ি রান্নার দিন। সে দিন তা-ই দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দেওয়া হয় ডিম আর ভাত। কিন্তু ডিম কেনার টাকা না থাকায় এ দিন সিউড়ি ১ ব্লকের ২০৯টি কেন্দ্রে শুধু ভাত দেওয়া হয়েছে।

দুবরাজপুরের সিডিপিও প্রবীরবাবু বলেন, ‘‘ডিম ও আনাজের বিল ওঁরা করেন। যে মাসের বিল তার টাকা পরের মাসের শেষ দিকে দেওয়া হয়। এক জন সুপারভাইজর অসুস্থ হওয়ায় এবং কিছু প্রশাসনিক জটিলতায় এ মাসে বিলের টাকা দিতে দেরি হয়েছে। জেলা প্রকল্প আধিকারিক বিষয়টি জানেন। ওঁদের কিছু দিন অপেক্ষা করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। এ দিন তাঁরা বিলের টাকাও পেয়েছেন। কিন্তু কেন এমন করা হল তা জানি না। এটা মানা যায় না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই একটি কেন্দ্রেই বিক্ষোভ হয়েছে। শুধু ভাত সব জায়গায় দেওয়া হলে সেখানেও বিক্ষোভ হতো। এই ঘটনা ফের যাতে না হয় সে জন্য একটি বৈঠক করা হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Food Anganwadi Suri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy