পুলিশে খবর না দিয়ে মৃত কিশোরীর দেহ সৎকার করে দেওয়া হয়েছিল। রবিবার মৃতার দুই কাকাকে গ্রেফাতর করল পুলিশ। পুরুলিয়া মফস্সল থানার ভুল গ্রামের ঘটনা। এ দিকে যেখানে ওই কিশোরীর দেহ সৎকার করা হয়েছিল তার কাছের একটি জায়গা থেকে একটি মানব ভ্রূণ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরার ধৃতরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর সঙ্গে গ্রামেরই এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি সে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বাড়িতে বকাবকি করলে আত্মহত্যা করে সে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। স্থানীয় সূত্রে পুলিশ খবর পায়, বছর পনেরোর এক কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। দুপুর নাগাদ গ্রামে পৌঁছে পুলিশ জানতে পারে দেহটি দাহ করে ফেলেছেন পরিবারের লোকজনেরা। তাঁরা তখন দাবি করেছিলেন, অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই কিশোরীর।
কিন্তু কোন অসুসে সে ভুগছিল তা নিয়ে সদুত্তর না পাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হয়। জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানান, একটি সূত্রে খবর পেয়ে যেখানে দেহটি দাহ করা হয়েছিল, তার কাছেই বালি ও মাটি খুঁড়ে একটি ভ্রূণ উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি ওই কিশোরীর কি না তা জানতে ময়নাতদন্তের জন্য সেটি বাঁকুড়ায় পাঠানো হবে।
পুলিশের দাবি, জেরায় দুই কাকা জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর বাবা কর্মসূত্রে কর্ণাটকে থাকেন। স্থানীয় স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত সে। গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে বলে তাঁরা দাবি করেন। ধৃতদের দাবি, বিষয়টি তাঁরা জানতে পেরে ওই কিশোরীকে বকাঝকা করেন। তার জেরেই আত্মহত্যা করে সে। বাড়িতে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে জানাজানি এড়াতে গ্রামের কাছে কংসাবতী নদীর শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দেহটি পুড়িয়ে ফেলেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ দিন ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের তিন দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খোঁজ চলছে ওই কিশোরীর আরেক কাকারও। যে যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল বলে কাকারা দাবি করেছেন, তারও খোঁজ করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy