ফি বছরের মতো শুক্রবার চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম বোলপুরে কোপাই নদীর পাড়ে কঙ্কালিতলায় শুরু হল তিন দিনের মেলা। কয়েকশো বছর ধরে চলে আসছে এই মেলা। মেলাকে ঘিরে বোলপুর-সহ আশপাশের দূর-দূরান্তের গ্রামগুলি থেকে বহু ভক্তের সমাগম হয়। বর্তমানে সতীর এই পীঠটিকে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নিয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতর।
আগে পরিকল্পনাহীন ভাবে চৈত্র মাসের শেষ দিনে কঙ্কালিমাতার পুজোকে কেন্দ্র করে বসত একটি ছোট্ট মেলা। দিন দিন মেলায় মানুষের সমাগম বাড়তে থাকায় ২০১০ সাল থেকে একটি ট্রাস্ট গঠন করে মেলা পরিচালনা করা হয়। এ দিন ভোর থেকেই মূল মন্দিরে পুজোর জন্য লম্বা লাইন পড়ে যায়। এ ছাড়াও মন্দির সংলগ্ন পবিত্র কুণ্ডের পাড়েও চলতে থাকে পুজো। মূল পুজো শেষে বলিদান হয়ে থাকে। বলিদানের পর্ব শেষে বিভিন্ন স্থানীয়, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ছড়িয়ে ছটিয়ে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হয়। এই মেলায় বিশেষ করে হাতপাখা, বেতের ঝুড়ি, কুলো, মোড়া প্রভৃতি পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। এগুলির বিক্রিই সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে কঙ্কালি মেলায়। এ বার মেলায় কেপমারি, ইভটিজিং রুখতে পুলিশ ও মেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি দল গঠন করা হয়েছে। তাঁরাই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালাচ্ছেন। মেলায় আসা ভক্তদের সুবিধার্থে বাড়তি বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
মেলার ট্রাস্টি নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘মেলায় ভক্তদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য আগাম সমস্ত রকম ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। জল, আলো, নিরাপত্তা, সেবার ব্যবস্থাও রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন, পঞ্চায়েতও পাশে আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy