শাল নদীর কজওয়েতে বিপজ্জনক পারাপার। —নিজস্ব চিত্র।
ফের ভাসল রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে থাকা খয়রাশোলের শাল ও হিংলো নদীর কজওয়ে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাতের জেরেই এমন ঘটনা। খয়রাশোলের হিংলো জলাধারে জল বেড়ে যাওয়ায় জল ছাড়তে হয়েছে। সঙ্গে বৃষ্টির জলে পুষ্ট নদীগুলির বুধবারের চেহারা রীতিমতো ভয়ঙ্কর ছিল। পরিণামে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে শুক্রবার দিনভর যান ব্যাহত হল আসানসোল–সিউড়ি, আসানসোল-রাজনগর ও খয়রাশোল রুটের বাস চলাচল।
দিন কয়েক আগেই হিংলো কজওয়ে পেরোতে গিয়ে জলের তোড়ে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জলে ঢেকে যাওয়া সেতুর মধ্যে দিয়ে যাতে কোনও যান বা মানুষজন যাতায়াত না করেন, সে দিকে এ দিনও সতর্ক দৃষ্টি রেখেছিল পুলিশ। তবে, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জলে ঢেকে যাওয়া শাল সেতুর উপর কিছু মানুষ যাতায়াত করলেন পুলিশের নিষেধ অগ্রাহ্য করেই। অন্য দিকে, কেউ কেউ হিংলো কজওয়ের কাছাকাছি থাকা পূর্ব রেলের অন্ডাল-সাঁইথিয়া শাখার হিংলো রেলসেতু দিয়েও গন্তব্যে পৌঁছলেন।
তবে, সমস্যা এখানেই মেটে নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় এসডিও হিংলো সেচ সাধন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সারাদিন ধরে পাঁচ হাজার কিউসেক জল ছাড়লেও যে ভাবে খয়রাশোলের বাবুইজোড়ের হিংলো জলাধারে জল বাড়ছে, তাতে আরও জল ছাড়তে হবে। কিন্তু একটি কারণেই সেটা থামাতে হয়েছে।’’ ওই আধিকারিক জানান, দুবরাজপুরের লোবা এলাকায় পলাশডাঙা চরের কাছে অজয় ও হিংলো দু’টি নদী মিশেছে। অজয়ে প্রচুর পরিমাণে জল থাকায় পলাশডাঙায় গিয়ে হিংলোর জল সঠিক ভাবে অজয়ের সঙ্গে মিশতে পারছে না। ফলে দেবীপুরচর, পলাশডাঙা চর যাতে প্লাবিত না হয়, সেই জন্য জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়নি। জল বিপদসীমা না পৌঁছে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy