প্রতীকী ছবি।
সুস্থ হয়ে উঠছেন ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের তিন করোনা আক্রান্ত। তাঁদের লালা রসের নমুনার দ্বিতীয় রিপোর্টও নেগেটিভ রিপোর্ট এল। দুর্গাপুরের বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছিল। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রের খবর, করোনা পজিটিভ তিন জনের কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন পর পর দুটি রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ মিলেছে। সেই কারণে শুক্রবার
তাঁদের দুর্গাপুর থেকে ছুটি দেওয়া হয়। তাঁদের আনার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। এমন খবরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সব মহলে।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (১) অমিতাভ সাহা বলেন, ‘‘করোনা পজিটিভ রোগীদের কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন পরপর দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ মিলেছে। সেই কারণে তিন জনকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। ওই তিন জনকে বাড়িতে ফেরানোর জন্য গাড়ি পাঠানো হয়েছে। সমস্ত নিয়ম মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের ক্যান্সার আক্রান্ত পঞ্চাশ বছরের এক মহিলাকে মুম্বই থেকে চিকিৎসা করিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ২২ এপ্রিল রাতে মল্লারপুর থানার অধীন এক গ্রামে ফিরছিলেন পরিবারের লোকজন। মহিলার সঙ্গে ছিলেন ছেলে, ছেলের শ্বশুর এবং মহিলার বোন। ছেলের শ্বশুরের বাড়ি মল্লারপুর থানা এলাকায় হলেও মহিলার বোনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়য়া থানা এলাকায়। এ দিকে, তাঁদের গ্রামে ঢোকার সময় বাধা দেন গ্রামবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ, প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলা সহ চার জনকে মল্লারপুরে সরকারি নিভৃতবাসে, ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের কিসান মান্ডিতে থাকার রাখার ব্যবস্থা করেন।
সরকারি নিভৃতবাসে থাকাকালীন ২৭ এপ্রিল ওই মহিলা সহ চার জনের লালারস সংগ্রহ করা হয়। ২৮ এপ্রিল লালারস মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। ৩০ এপ্রিল রাতে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলাকে জানানো হয়, ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলা সহ মুম্বই সফর সঙ্গী মহিলার বেয়াই এবং মহিলার বোনের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ মিলেছে। মহিলার ছেলের রিপোর্ট অবশ্য নেগেটিভ পাওয়া যায়। ১ মে রামপুরহাট জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং বীরভূম জেলা প্রশাসন করোনা আক্রান্ত তিন জনকে দুর্গাপুরের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, মল্লারপুরের সরকারি নিভৃতবাসে থাকা তিন জনের করোনা পজিটিভ পাওয়ার পরে নিভৃতবাসে যাঁরা ছিলেন সেই সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মী, ব্লক অফিসের কর্মী, নিভৃতবাসে যাঁরা খাবার জোগান দিয়েছেন এমন সংস্পর্শে আসা ১০০ জনের লালারস সংগ্রহ করে টেস্ট-এর জন্য পাঠানো হয়। তাঁদের অধিকাংশের রিপোর্ট নেগেটিভ মিলেছে। ইতিমধ্যে ৫ মে রামপুরহাট ১ ব্লকে কলকাতা থেকে আসা এক যুবকের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য দফতর ওই যুবককে বোলপুরের কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। দুবরাজপুর ব্লকেও দু’জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। দুবরাজপুরের করোনা আক্রান্ত ওই দু’জনও বোলপুর কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রামপুরহাট ১ ব্লকে করোনা পজিটিভ পাওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের পরিবারের চার সদস্য সহ যুবকের সংস্পর্শে আসা রামপুরহাট ১ ব্লকের নিভৃতবাসে থাকা ১৭ জনের, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক সহ গ্রুপ ডি কর্মী এবং তিন জন অ্যাম্বুল্যান্স চালক নিয়ে মোট ৭০ জনের লালারস সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এমন আবহেই মিলল স্বস্তির খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy