Advertisement
E-Paper

নিয়ম কি মানা হচ্ছে, নজর রাখবে পুলিশ

গত ১ নভেম্বর কোতুলপুরের একটি ঘেরা মাঠে সভার কথা ছিল শুভেন্দুর। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় বিজেপি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়।

শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩১
Share
Save

দু’-দু’বার আবেদন করেও কোতুলপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচির জন্য অনুমতি পায়নি জেলা বিজেপি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্ট থেকে আজ, শনিবার কোতুলপুরে শুভেন্দুর মিছিল ও পথসভার অনুমতি মিলেছে। ওই মিছিলে বড় সংখ্যায় জমায়েত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিজেপি নেতারা। তবে ধান কাটার মরসুম চলায় গ্রামাঞ্চলের কর্মী-সমর্থকেরা এই কর্মসূচিতে কতটা উৎসাহ দেখাবেন, তা নিয়ে দলেরই একাংশ সন্দিহান।

গত ১ নভেম্বর কোতুলপুরের একটি ঘেরা মাঠে সভার কথা ছিল শুভেন্দুর। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় বিজেপি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাই কোর্ট পুলিশের যুক্তি শুনে সভা পিছিয়ে নতুন করে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে পুলিশের কাছে কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে নির্দেশ দেয় বিজেপিকে। দলের দাবি, হাই কোর্টের নির্দেশ মতো পুলিশের কাছে ফের এলাকায় মিছিল ও পথসভা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু পুলিশ সেই আবেদনপত্র ফেলে রেখে ছুটির মধ্যে তা মহকুমাশাসকের (বিষ্ণুপুর) কাছে পাঠায়। অনুমতি না পাওয়ায় কর্মসূচির আগের দিন তা স্থগিত করেন বিজেপি নেতৃত্ব।

পরের দিনই শুভেন্দুর নির্দেশে কর্মসূচির অনুমতি নিতে জেলা নেতৃত্ব হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখান থেকে মিছিল ও পথসভার অনুমতি মিলেছে।

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা শুক্রবার বলেন, “হাই কোর্টের অনুমতি পেয়ে মিছিল ও পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের কর্মসূচি নিয়ে পুলিশকে যে সব তথ্য হাই কোর্ট জানাতে বলেছিল, তা জানানো হয়েছে।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, বিজেপির কর্মসূচি নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না, নজর রাখা হচ্ছে।

এ দিকে সভা করতে চেয়ে দু’বার ধাক্কা খাওয়া বিজেপি শিবির এ বারের কর্মসূচিতে নজরকাড়া ভিড়ের আয়োজন করতে তৎপর। তবে দলেরই নেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এখন মাঠে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত। অঞ্চল নেতৃত্ব, শক্তিপ্রমুখদের মাধ্যমে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অনেকেই কাজের কথা শুনিয়ে কর্মসূচিতে আসা নিয়ে সুনিশ্চিত ভাবে কিছু জানাতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে জমায়েত কতটা হবে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্বও।

অমরনাথ কেবল বলেন, “আমরা কোতুলপুর অচল করে দেওয়ার মতো লোক আনব।”

তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “বিভ্রান্তি ছড়ানো, বিশৃঙ্খলা তৈরি ও কিছু মানুষকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার জন্যই শুভেন্দু জেলায় আসেন। সাধারণ মানুষ এটা বুঝে গিয়েছেন বলেই ওঁর কর্মসূচি নিয়ে কারও
আগ্রহ নেই।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

kotulpur BJP

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}