Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Fall in sell

মাস্ক ছাড়া পথে, কমেছে বিক্রিও

মাস্কের ব্যবহার যে কমেছে, সেই কথা মানছেন ওষুধের দোকানিরাও। বিক্রেতাদের দাবি, আগে যে পরিমাণ মাস্কের চাহিদা ছিল। এখন তার অর্ধেকও নেই। 

 হুঁশ নেই: সিউড়ির পথে মাস্ক ছাড়াই। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

হুঁশ নেই: সিউড়ির পথে মাস্ক ছাড়াই। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

শুভদীপ পাল 
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৪৭
Share: Save:

সংক্রমণ থামার নাম নেই। তার সামনে বাঁধ দিতে পারে যে মাস্ক, তারও বালাই নেই। পরিস্থিতি এমন যে, সিউড়ির একাধিক দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে মাস্কের চাহিদা।

করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। বাজার থেকে দোকান, অটো-বাস, সর্বত্র বজায় রাখতে হবে দূরত্ববিধিও। কিন্তু, সচেতনতার সেই ছবি অনেকটাই বিবর্ণ হয়েছে জেলার বহু জায়গায়। বুধবার সকালে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা গেল অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘুরছেন। কেন পরেননি মাস্ক? জবাব এল, ‘‘এখন পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক হয়েছে। তা ছাড়া আক্রান্ত হলে হব, কী আর করা যাবে?’’ মসজিদ মোড়, এসপি মোড়, বড়বাগান সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেও ছিল এই ছবি।

শহরবাসীর বড় একাংশের দাবি, এক শ্রেণির মানুষ এতই অসচেতন যে তার মূল্য চোকাচ্ছেন বাকিরা। এমনিতে সামনেই পুজো। স্বাভাবিক ভাবেই প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় বাজারে অল্পবিস্তর ভিড় হচ্ছে। সেই সময়েও বাজারে গেলে দেখা যাবে, অনেকের মুখে মাস্ক নেই। কারও মাস্ক পকেটে রাখা, তো কারও মাস্ক নাক মুখ থেকে নামানো। অনেক দোকানি মাস্ক ছাড়া ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন। তখন মাস্ক পরে নিচ্ছেন, এমন সংখ্যাও কম নয়। কিছু ক্ষেত্রে দোকানি বা ক্রেতা, কেউই পরে নেই মাস্ক।

শহরবাসীর অনেকের অভিজ্ঞতা, মাসখানেক আগে পর্যন্ত মাস্ক নিয়ে পুলিশের ধরপাকড় চলছিল। তখন পুলিশের ভয়ে অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছিলেন। সেই সংখ্যা এখন অন্তত ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছে বলে এঁদের অনেকের মত। মাস্কের ব্যবহার যে কমেছে, সেই কথা মানছেন ওষুধের দোকানিরাও। বিক্রেতাদের দাবি, আগে যে পরিমাণ মাস্কের চাহিদা ছিল। এখন তার অর্ধেকও নেই।

ওষুধের দোকানি অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘আগে প্রতিদিন অন্তত এক বাক্স মাস্ক বিক্রি হত। এখন সেটা অর্ধেক হয়েছে।’’ একই কথা বলেছেন আর এক দোকানি নয়ন লো। তাঁর কথায়, ‘‘যেখানে মাস্ক ছাড়া ঢুকতে দেবে না, যেমন চিকিৎসকের চেম্বার, হাসপাতাল, সরকারি দফতর সেখানে অনেকে মাস্ক পরে যাচ্ছেন। তা ছাড়া মাস্ক ব্যবহার করছেন না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আগে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি মাস্ক বিক্রি করেছি। এখন খুব বেশি হলে ১০টি মাস্ক বিক্রি হয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Fall in sell Mask Siuri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy