—প্রতীকী চিত্র।
শারদোৎসবকে ঘিরে নানা জনসংযোগ কর্মসূচিতে জোর দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। পুজো উদ্বোধন বা শিবির করে পরিষেবা দেওয়া থেকে মানুষের দরজায় পৌঁছনো, সবই থাকছে শাসক থেকে বিরোধী দলগুলির পুজোর রুটিনে।
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যে উৎসবের দিগুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে যে সব সামাজিক কর্মসূচি বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হচ্ছে, সর্বত্র কর্মীদের মানুষের পাশে থাকতে বলা হয়েছে। কোথাও স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে তো কোথাও বা সাধারণ কর্মী হিসাবে তাঁরা মানুষকে পরিষেবা দেবেন। কর্মীরাই যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দলের মুখ, বৈঠকে তা প্রত্যেককে বোঝানো হয়েছে।”
এ ছাড়া, দলের চিকিৎসক সংগঠনের তরফে যে মণ্ডপগুলিতে তুলনায় বেশি ভিড় হয়, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম-সহ শিবির করা হচ্ছে। থাকছে একটি ভ্রাম্যমাণ শিবিরও।
পুজোর দিনগুলিতে দলের কর্মীরা যে কোনও প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকবেন, জানান সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়ও।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন মণ্ডপে আমাদের বইয়ের স্টল বরাবরের মতো এ বারও থাকছে। বিভিন্ন পত্রিকা-সহ দলীয় শাখা সংগঠনের মুখপত্রের শারদ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। গ্রাহকদের কর্মীরা বাড়িতেই সেগুলি পৌঁছে দেবেন। কর্মীরা যে ভাবে মানুষের সঙ্গে থাকেন, এ বারেও থাকবেন।”
দলীয় সাংসদের বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন রয়েছে জানিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা বলেন, “মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের সঙ্গে থাকতে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
বাঁকুড়াতেও পুজো ঘিরে জনসংযোগে খামতি নেই রাজনৈতিক দলগুলির। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বুথ সভাপতিদের নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার খবর নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অঞ্চল সভাপতি ও ব্লক সভাপতিরাও এলাকার ঘরে ঘরে ঘুরবেন। সঙ্গে স্থানীয় পুজোগুলির সঙ্গে ওতপ্রতো ভাবে জড়িত থাকতে বলা হয়েছে দলের সব স্তরের নেতাদেরই। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায় “বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিতে নির্দেশ দিয়েছে দল। জড়িত থাকতে হবে পুজোগুলির সঙ্গেও।”
বিজেপির তরফেও দলীয় কার্যকর্তাদের স্থানীয় পুজোগুলির সঙ্গে যুক্ত থাকতে বলা হয়েছে। নেতাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পুজো কমিটিগুলিকে সাহায্য করতেও বলা হয়েছে। জেলা বিজেপির এক নেতার দাবি, দলের প্রতিটি কার্যকর্তাই স্থানীয় পুজোগুলির সঙ্গে যুক্ত। এ দিকে, পুজো মণ্ডপে বইয়ের স্টল গড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের চিরাচরিত পথেই জনসংযোগে জোর দিচ্ছে সিপিএম। দলীয় সূত্রে খবর, প্রতি ব্লকের বড় পুজোগুলিতে বইয়ের স্টল থাকছে। সঙ্গে সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট বা মাঝারি মাপের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে বলা হয়েছে দলের এরিয়া কমিটিগুলিকে।
অনুষ্ঠান মঞ্চের গায়ে নানা সমস্যা তুলে ধরতে পোস্টার, ব্যানারও লাগানো হবে জানিয়ে সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, “মণ্ডপে মণ্ডপে বইয়ের স্টল তৈরি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এরিয়া কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে। পুজোয় এ ভাবেই জনসংযোগ বাড়াতে কর্মীরা ব্যস্ত থাকবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy