কঙ্কালীতলা মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেম মাস পাঁচের আগে। কিন্তু তার পরও ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা যায়নি কঙ্কালীতলা মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি। অবশেষে সোমবার পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করা হল সেটি। বৈদ্যুতিক চুল্লির যন্ত্রাংশ ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা দেখতেই চলেছে মহড়া।
কঙ্কালীতলা মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর জন্য অনুব্রত মণ্ডল অনুরোধ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই আবেদনে সাড়া দেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজ শেষ হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর এটির উদ্বোধন করেন মমতা। কিন্তু উদ্বোধন করলেও চালু হয়নি বৈদ্যুতিক চুল্লি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভও ছড়ায়। বিষয়টি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, অপারেটরের অভাবেই এতদিন পড়েছিল ওই চুল্লি। সোমবার তা প্রথমবার পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার হল। বৈদ্যুতিক চুল্লির যন্ত্রাংশ সঠিক ভাবে কাজ করেছে কি না, তা নিশ্চিত করেছেন নির্মাণকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়ররা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর পুরসভার প্রশাসক সুকান্ত হাজরা। তিনি বলেছেন, ‘‘কী ভাবে কাজ করবে এটি, তা সোমবার দেখে দেওয়া হল। চুল্লি চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।’’
তবে বৈদ্যুতিক চুল্লির পরিষেবা পেতে হলে সাধারণ মানুষকে কত মূল্য দিতে হবে, তা এখনও পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। সুকান্ত বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হবে। তাঁরা সকলে মিলে নির্ধারণ করবেন পরিষেবা মূল্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy