অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
ছাত্র আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ফের শোকজ করা হলো বিশ্বভারতীর অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে।
পাঠভবনের অধ্যক্ষের মর্যাদাহানির অভিযোগে আগেই সুদীপ্তকে সাসপেন্ড করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দফায় দফয়া সেই সাসপেনশনের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। তারই মধ্যে এ বার ফের তাঁকে শোকজ করলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তিন দিনের মধ্যে, জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সুদীপ্তকে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল অধ্যাপক সুদীপ্তকে। সেখানে তিনি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। সে কারণেই এ বার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে।
হাই কোর্টের নির্দেশে তিন বহিষ্কৃত পড়ুকে ফিরিয়ে কার্যত ছাত্র আন্দোলনের দাবির ন্যয্যতা মেনে নিয়েছে বিশ্বভারতী। বিতর্ক মিটে যাওয়ার পরেও সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য কেন এক অধ্যাপককে শোকজ করা হল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
সাসপেনশন প্রসঙ্গে সুদীপ্ত বলেন, ‘‘শুধু আমি নই, এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বিশ্বভারতীয় অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউএফএ।’’ বিষয়টি নিয়ে আগামীতে, আলোচনা করে আইনি পথে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বছর জানুয়ারি মাসে সুদীপ্তকে সাসপেন্ড করেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হয় ৫ সেপ্টেম্বর। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সাসপেনশনের মেয়াদ এক মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুদীপ্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। সে জন্যই বাড়ানো হল মেয়াদ।
পাঠভবনের অধ্যক্ষ পদে বোধিরূপা সিংহকে নিয়োগের সময় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন সুদীপ্ত। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের বিবৃতি দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ না পর্যন্ত তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy