বাসের জন্য ভোগান্তি। —ফাইল চিত্র
বাসকর্মীরা শুক্রবার বাঁকুড়া জেলা জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। তার জেরে ব্যাপক বিপত্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শেষমেশ, বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সেই কর্মবিরতি হয়নি। পাশাপাশি, দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রুটেও বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাঁকুড়া-নবদ্বীপ রুটের যে বাসটি নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত, সেটির চলাচল আজ, শনিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রুটে বেসরকারি সব বাসের চলাচল বন্ধ ছিল। বাঁকুড়ার বাস মালিকেরা দাবি করেন, দুর্গাপুরের এক বাস মালিকের বাঁকুড়া-নবদ্বীপ রুটের বাসটির সময়সূচি বদলাতে হবে। যত দিন না তা হচ্ছে, ততদিন বাস চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি, ওই বাসটি-সহ দুর্গাপুরের মোট সাতটি বাস আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়ার বাস মালিকদের বিরুদ্ধে। ‘পাল্টা’ হিসেবে বাঁকুড়ার ১৩টি বাস আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে দুর্গাপুরের বাস মালিকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার পরিবহণ কর্মীরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে বিবদমান দু’পক্ষকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে বসেন জেলাশাসক (বাঁকুড়া) উমাশঙ্কর এস। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘‘বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সমস্যা মিটেছে।’’
‘বাঁকুড়া বাসমালিক কল্যাণ সমিতি’র সহ-সভাপতি অঞ্জন মিত্র বলেন, ‘‘প্রশাসন আমাদের দাবিগুলি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। এর পরেই বাসকর্মীরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন এবং দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।’’ তাঁর আরও দাবি, নবদ্বীপ-বাঁকুড়া রুটের যে বাসটিকে ঘিরে বিতর্ক, সেটির মালিক সময়সূচি বদলানোর জন্য স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথারিটিতে আবেদন জানানোর কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, যত দিন না পরিবর্তিত সময়সূচি ঠিক হচ্ছে, ততদিন বাসটি রুটে চালানো হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
যদিও অঞ্জনবাবুর এই দাবির সঙ্গে ‘ভিন্ন মতের’ কথা জানিয়েছেন দুর্গাপুরের বাসমালিক কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুভাষ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘শনিবার পর্যন্ত প্রশাসনের নির্দেশ মেনে বাসটি বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু রবিবার থেকে ফের বাসটি রাস্তায় নামবে। যদি আটকানো হয়, তা হলে ফের সমস্যা হবে।’’ বাসের মালিক সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, তিনি আগের সময়সূচি মেনেই বাসটি চালাতে চাইছেন। তাঁর কথায়, ‘‘পরিস্থিতি সামলাতে সময় নিয়েছে প্রশাসন। তাই দু’দিন বাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
এই পরিস্থিতিতে বাস চলাচল শুরু হলেও অদূর ভবিষ্যতে ফের পথে নেমে ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে কি না, এটাই এখন প্রশ্ন দুই জেলার এই রুটের যাত্রীদের একটা বড় অংশেরই। তবে প্রশাসনের বৈঠকের পরে, দু’পক্ষই আটকে রাখা বাসগুলি ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy