সফরে: কীর্ণাহারে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
পাঁচিল-কাণ্ডে প্রথম থেকেই বিশ্বভারতীর পক্ষ নিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার বীরভূমে এসে সেই সুরই শোনা গেল বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। জমি রক্ষার জন্য শান্তিনিকেতনে পাঁচিল প্রয়োজন বলে সওয়াল করলেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, শান্তিনিকেতনে তৃণমূল জমি দখল করছে।
এ দিন কীর্ণাহারের একটি বেসরকারি লজে সভা ছিল বিজেপির। দিলীপবাবু ছাড়াও ছিলেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক বিবেক সোনকর, রাজ্য নেতা পার্থসারথি কুণ্ডু, জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল প্রমুখ। সভা শেষে দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘সবাই জানেন তৃণমূল শান্তিনিকেতনের জমি দখল করে দুষ্কৃতীদের বসিয়ে দিচ্ছে, টাকা নিয়ে ব্যবসায়ীদের বসিয়ে দিচ্ছে। যেহেতু উপাচার্য পাঁচিল দিয়ে ঘিরে সেই জমিকে রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে। তাঁর বাড়িতে ঢিল মারা হচ্ছে।’’
পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে ঘিরে গত ১৭ অগস্ট ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে শান্তিনিকেতনে। উত্তেজিত জনতা নির্মীয়মাণ পাঁচিল ভেঙে দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি, বোলপুর পুরসভার তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরা, ওমর শেখদের। তখনও বিজেপি এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলকে দায়ী করেছিল। নরেশবাবুদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী থানায় অভিযোগও করে। এ দিন দিলীপবাবুরও দাবি, ‘‘এমএলএ, কাউন্সিলর মিলে দেওয়াল ভেঙে দিয়েছেন। এর আগেও বহু জায়গায় রেলিং দিয়ে বিশ্বভারতী ঘিরে দিয়েছে, কিন্তু সেখানে তো সমস্যা হয়নি। তা হলে আজ কেন সমস্যা হচ্ছে? আসলে শান্তিনিকেতনের জমি এদের লক্ষ্য। সেটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে উৎপাত করছে। জমি সুরক্ষিত করার জন্য অবশ্যই পাঁচিল হওয়া উচিত।”
দিলীপবাবুর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নরেশবাবু বলেন, ‘‘আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি দলের তরফে নয়, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী হিসাবে সেদিনের প্রতিবাদে শুধুমাত্র শামিল হয়েছিলাম। আমি পাঁচিল ভাঙার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। পাঁচিল ভাঙার কোনও ফুটেজেও আমাকে দেখা যায়নি। তাই দিলীপ ঘোষ কী বললেন না বললেন, তাতে কিছু যায় আসে না।’’ জমি দখলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উনি পাগলের মতো কথাবার্তা বলছেন। এই সব কথার কোনও যুক্তি নেই। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই, তাই তারা আমাদের দলকে বদনাম করার জন্য আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।’’
বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিন আগেই বোলপুরে এসে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে ‘মধ্যস্থতা’ করার কথা বলেছিলেন। এ দিন এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবুর মন্তব্য, “আমরা দরজা অনেক বড় করেছি। কোনও বিশেষ নামের প্রয়োজন নেই। অনেক বড় বড় নেতা, মেয়রকে আমরা নিয়েছি। এখন কে আসবেন না আসবেন সেটা ওদের ব্যাপার।” তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এটা পাগলের প্রলাপ। এর কোনও জবাব হয় না। ওঁরা কলকাতায় বসে রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁফিয়ে ওঠেন। তাই বিশুদ্ধ হাওয়া খেতে মাঝেমধ্যে জেলায় এসে উল্টোপাল্টা বলে যান!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy