Advertisement
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus

বাজারে ভিড় ‘লকডাউন’ শুরুর আগে

এ দিন সকাল থেকেই পুরুলিয়ার পোস্টঅফিস মোড়, হাটের মোড়, হাসপাতাল মোড়, সাহেববাঁধের রাস্তা, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, কাপড়গলি মোড়, বাসস্ট্যান্ড মোড়ের মতো জায়গাগুলিতে ছিল ঠাসা ভিড়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২০ ০৪:০১
Share: Save:

বিকেল ৪টে থেকে টানা তিন দিনের ‘লকডাউন’। জরুরি পরিষেবা ছাড়া, কিছু মিলবে না। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বাড়িতে মজুত করতে ভিড় উপচে পড়ল পুরুলিয়া শহর ও আদ্রার বাজারগুলিতে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আনাজ বাজার থেকে শুরু করে মুদির দোকানগুলিতে ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। এমনকি, ওষুধের দোকানেও দেখা গিয়েছে লম্বা লাইন। এক দিনের বিপুল বিক্রিতে খুশি আনাজ ও মুদি দোকানিরা।

এ দিন সকাল থেকেই পুরুলিয়ার পোস্টঅফিস মোড়, হাটের মোড়, হাসপাতাল মোড়, সাহেববাঁধের রাস্তা, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, কাপড়গলি মোড়, বাসস্ট্যান্ড মোড়ের মতো জায়গাগুলিতে ছিল ঠাসা ভিড়। বিশেষ করে বড় হাট-সহ শহরের আনাজ বাজারগুলিতে প্রবল ভিড় চোখে পড়েছে।

পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা পবিত্র দৈবজ্ঞের অভিজ্ঞতা, রাস্তার ভিড় ঠেলে দোকানে পৌঁছে আলু কিনতে লেগেছে এক ঘণ্টার বেশি সময়। নীলকুঠিডাঙার বাসিন্দা রাজা সরকারের কথায়, ‘‘ভিড় এড়াতে বড় হাটের বদলে স্টেশনের কাছে আনাজ বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে ভিড় দেখে বাধ্য হয়ে শহর থেকে বেরিয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে বাজার করেছি।’’ মুদির দোকানে দু’ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে চাল, ডাল কিনতে হয়েছে বলে জানান অনেকেই। ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব-বিধি শিকেয় ওঠায় করোনার সংক্রমণ কোন পর্যায়ে পৌঁছবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

একই ছবি ধরা পড়েছে আদ্রা স্টেশনের কাছে আনাজ বাজার-সহ অন্যত্রও। সাউথ সেটলমেন্টের এক আনাজ বিক্রেতা বিনয় পালের কথায়, ‘‘সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাড়ে চারশো কেজি আলু, একশো কেজি পেঁয়াজ ও দু’শো কেজির মতো আনাজ বিক্রি করেছি। এক দিনে এত আনাজ আগে কোনও দিন বিক্রি হয়নি।”

যদিও বিকেল ৪টে থেকে ‘লকডাউন’ শুরু হতে ছবিটা আমূল বদলে যায়। পুরুলিয়া ও আদ্রার দোকানপাট, বাজার বন্ধ হয়ে যায় ৪টের কিছু আগেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও পুলিশি টহল শুরু হতেই সেগুলির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। পুরুলিয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্তের নেতৃত্বে পুলিশ রাস্তায় নেমে টহল শুরু করে। আদ্রা-সহ ‘লকডাউন’ জারি হয়েছে লাগোয়া আরও কয়েকটি এলাকাতেও। এ দিন সেই এলাকাগুলিতে দেখা গেল, গলির মুখে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ঝোলানো হয়েছে ‘নো এন্ট্রি বোর্ড’।

অন্য দিকে, আদ্রায় ‘লকডাউন’-এ ট্রেন চলাচলের সঙ্গে যুক্ত থাকা অফিস ও হাসপাতাল ছাড়া, রেলের অন্য সমস্ত অফিস আগামী তিন দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদ্রার রেল কর্তৃপক্ষ। আদ্রার ডিআরএম নবীন কুমার এ দিন বলেন, ‘‘রেল-শহরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। জেলা প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করায় ট্রেন চলাচলের সঙ্গে যুক্ত থাকা অফিস, কন্ট্রোল রুম, স্টেশন ও হাসপাতাল ছাড়া, অন্য সমস্ত অফিস তিন দিন বন্ধ থাকবে। কর্মীরা প্রয়োজনে বাড়িতে বসে কাজ করবেন।”

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy