প্রতীকী ছবি।
মনসাপুজোর দিনটি ‘লকডাউন’-এর আওতা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠল পুরুলিয়ায়। চলতি মাসে রাজ্য সরকার যে দিনগুলিতে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে ১৭ অগস্টে রয়েছে মনসাপুজো। জেলার নানা প্রান্তের মানুষজন জানান, পুরুলিয়ার অন্যতম বড় উৎসব মনসাপুজো। পুজোর আগের দিন মানুষজন বাজার-হাট সারেন। কিন্তু পুজোর আগের দিনও ‘লকডাউন’ ঘোষিত হওয়ায় অনেকেই সমস্যায় পড়বেন বলে দাবি। সমস্যার কথা জানিয়ে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘টুইট’ করেছেন বিধায়ক নেপাল মাহাতো। বিবেচনার দাবি উঠছে তৃণমূলের তরফেও।
নেপালবাবু এ দিন বলেন, ‘‘মনসাপুজো পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার মানুষজনের কাছে শুধু পুজোই নয়, লোক-উৎসবও বটে। ১৭ তারিখ পুজোর দিনে ‘লকডাউন’ থাকলে অনেকেই অসুবিধায় পড়বেন বলে জানিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যদি পুজোর দিনটিকে ‘লকডাউন’-এর আওতার বাইরে রাখা যায় বা শিথিল করা যায়, মুখ্যমন্ত্রীকে সেই অনুরোধ জানিয়েছি।’’
এ দিকে, তৃণমূলের অন্দরেও মনসাপুজো ও পুজোর আগের দিন ‘লকডাউন’-এর আওতার বাইরে রাখার দাবি উঠেছে। পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক উমাপদ বাউরি জানান, অনেক মানুষই ওই দিনের ‘লকডাউন’ নিয়ে তাঁদের কাছে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। দলের জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডুর কথায়, ‘‘মনসাপুজো জেলার বড় পুজো। ওই দিন ‘লকডাউন’ হলে অনেকেই সমস্যায় পড়তে পারেন। দলের রাজ্য নেতৃত্বকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়েছি।’’ বলরামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য শান্তিরাম মাহাতোও ১৬-১৭ তারিখের ‘লকডাউন’ পুনর্বিবেচনার বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর আবার কটাক্ষ, ‘‘উৎসবের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নতুন করে ‘লকডাউন’-এর দিন ঘোষণা করলেন। কিন্তু পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার এই উৎসব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদাসীন। আমরা কিছু বললেই বিরোধিতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। আমাদের প্রশ্ন, এই এলাকার মানুষের উৎসব কি উৎসবের মধ্যে পড়ে না!’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়ও বলেন, ‘‘এই অবৈজ্ঞানিক ‘লকডাউন’ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। তবে মনসাপুজো পুরুলিয়ার লোক-উৎসব। স্বাস্থ্য-বিধি মেনে যাতে মানুষ উৎসবে যোগ দিতে পারেন, সে কথা ভাবা দরকার ছিল।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy