স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সেলাই মেশিনে ব্যস্ত। নিজস্ব চিত্র
এক বছর আগে তাঁরা ‘মাস্ক’ তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন। কিন্তু সে প্রশিক্ষণ যে এত তাড়াতাড়ি কাজে আসবে ভাবতে পারেননি। পুরুলিয়ার মানবাজার ১ ব্লকের ‘গোপালনগর নিউ প্রতিভা মহিলা সঙ্ঘ বহুমুখী প্রাথমিক সমবায় সমিতি’-র ২০ জন সদস্য এখন কার্যত দিনরাত এক করে করোনা-মোকাবিলার জন্য ‘মাস্ক’ তৈরি করে চলেছেন।
মানবাজার ১ ব্লকের মহিলা উন্নয়ন আধিকারিক নন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ স্বরোজগার কর্পোরেশন লিমিটেডের পক্ষ থেকে ‘মাস্ক’ তৈরির বরাদ্দ মিলেছিল। ৮,৭০০টি ‘মাস্ক’ জেলা দফতরে জমা করার পরে, গোপালনগরের সঙ্ঘ ফের বরাত পেয়েছে। তাদের ‘মাস্ক’ তৈরির পরিমাণ বাড়িয়ে দৈনিক এক হাজার করতে বলা হয়েছে।’’ গোপালনগর সঙ্ঘের তরফে কল্পনা মাহাতো বলেন, ‘‘২০ জন সদস্য দুই শিফটে প্রতিদিন কাজ করছেন। সদস্যেরা কাপড় কাটা, ‘মাস্ক’ সেলাই করা থেকে প্যাকিং করতে গিয়ে কার্যত নাওয়াখাওয়া ভুলেছেন।’’
মানবাজার ১ ব্লকের প্রশিক্ষক মিঠু মণ্ডল জানান, এক বছর আগে ওই সমবায় সমিতির সদস্যদের ‘ফেস মাস্ক’ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ৭৮ দিন ধরে প্রশিক্ষণ চলেছিল।
মাপমতো কাপড় কাটা, সেলাই, ‘স্যানিটাইজ়’, প্যাকিং— প্রভৃতি কী ভাবে করতে হবে যাবতীয় খুঁটিনাটি শেখানো হয়েছে। রাজ্য স্তর থেকে এ ব্যাপারে সাহায্য পাওয়া গিয়েছে।
বিডিও (মানবাজার ১) নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘‘সম্প্রতি কিসান মান্ডির আনাজ বিক্রেতাদের বিনামূল্যে ‘মাস্ক’ দেওয়া হয়েছে। ব্লক এলাকার ১০টি পঞ্চায়েতেও কিছু ‘মাস্ক’ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’ সঙ্ঘের সদস্যরা বলেন, ‘‘আমাদের তৈরি ‘মাস্ক’ দেশবাসীর কাজে লাগছে ভেবে বাড়তি উৎসাহ পাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy