Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

পিপিই পরে আক্রান্তদের কাছে ডিএম

ওন্দা কোভিড হাসপাতালে গিয়ে সরাসরি আক্রান্তদের থেকে সমস্যার কথা শুনলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২৫
Share: Save:

পিপিই পরে ওন্দা কোভিড হাসপাতালে গিয়ে সরাসরি আক্রান্তদের থেকে সমস্যার কথা শুনলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ। রবিবার জেলার কোভিড হাসপাতাল ওন্দা সুপার স্পেশালিটিতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়া স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সরেন ও ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্তারা। পিপিই পরে সবাই হাসপাতালের ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কেমন রয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হয়।

ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা প্রায়ই রোগীদের প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে। এ দিন হাসপাতালে গিয়ে জেলাশাসকের নজরেও সেই সমস্যা উঠে আসে। সূত্রের খবর, সাফাইকর্মীরা সবাই কাজে যোগ দিচ্ছেন না বলে জেলাশাসক খবর পান। এর পরেই ওই হাসপাতালের সাফাইয়ের দায়িত্বে থাকা এজেন্সির কর্তাকে তলব করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। যে সমস্ত সাফাইকর্মী কাজে যোগ দিচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।

খাবারের মান কেমন, এ দিন তা হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের কাছে জানতে চান জেলাশাসক। মান নিয়ে কেউ নালিশ না করলেও কয়েকজন রোগী জানান, পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক রোগী যাতে পর্যাপ্ত খাবার পান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সে দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।

ওয়ার্ডগুলিতে নিয়মিত জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা যাতে পরিদর্শন করেন, এ দিন সেই নির্দেশও দিয়েছেন জেলাশাসক। পাশাপাশি, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক এবং ওন্দা সুপার স্পেশালিটির সুপার ও আধিকারিকদেরও নিয়মিত ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সুবিধা-অসুবিধা জানার নির্দেশ দেন তিনি। হাসপাতালের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক ভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছিল। এ দিন জেলাশাসকের উদ্যোগে হাসপাতালে ডাঁই হয়ে জমে থাকা বর্জ্য ডাম্পারে তুলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

জেলাশাসক বলেন, “হাসপাতালে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। হাসপাতালের আধিকারিক, জেলা স্বাস্থ্যকর্তা ও বাঁকুড়া মেডিক্যালের চিকিৎসকদের নিয়মিত কোভিড হাসপাতালের ওয়ার্ড পরিদর্শন করতে বলেছি। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার কাজে কিছু গাফিলতি উঠে এসেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সিকে সতর্ক করেছি। সব রোগী যাতে পর্যাপ্ত খাবার পান, সে দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে বলেছি।” তিনি যুক্ত করেন, “হাসপাতালের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ঠিক ভাবে পরিচালনা করতে জেলা প্রশাসনের তরফে পদক্ষেপ

করা হচ্ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal PPE
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy