আহত উৎপলহরি মণ্ডল। শুক্রবার সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
মিষ্টি খাওয়ানোর পরে মারধরের অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার সিউড়ি ২ ব্লক কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসা বিজেপি প্রার্থীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে ছিলেন সিউড়ি ২ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মির্জা জাকির হোসেন। সৌহার্দের এই বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছিল বিজেপিও। কিন্তু এর পরেই ওই একই ব্লকে বিজেপির নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
মারধরে আহত হয়ে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি বিজেপির সিউড়ি ২ ব্লক সভাপতি উৎপলহরি মণ্ডল। মারে তাঁর বুকের পাঁজরে চির ধরেছে বলে জানান উৎপল। কয়েক’শো তৃণমূল সমর্থক তাঁদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ উৎপলের। মেকি সৌহার্দের বার্তা দিয়ে হার নিশ্চিত জেনে তাঁদের উপরে আক্রমণ হয়েছিল বলে অভিযোগ বিজেপির। পাশাপাশি, ঘটনার সময়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
উৎপল বলেন, ‘‘যখন আমাকে মারধর করা হচ্ছিল তখন কোনও পুলিশকর্মী সেখানে ছিল না। পরে পুলিশ এসে আমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৪-৫ ঘণ্টা পরে চিকিৎসক আসেন। ততক্ষণ নার্সদের তত্ত্বাবধানে কার্যত বিনা চিকিৎসায় কাটাতে হয় তাঁকে। জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা হাসপাতালে এসে চিৎকার, চেঁচামেচির পরেই চিকিৎসক আসেন।”
ধ্রুব সাহা বলেন, “বীরভূমে রাজনৈতিক সন্ত্রাস অব্যাহত। আমরা সর্বত্র গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি।” যিনি মিষ্টি খাইয়ে ছিলেন সেই মির্জা জাকির হোসেন বলেন, "মিষ্টি খাওয়ানোটা তৃণমূলের সৌজন্য ছিল। এর বাইরে কিছুই হয়নি। মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।" সিউড়ির দুই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি এবং আসন্ন নির্বাচনে জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী নুরুল ইসলামও বলেন, “আমার জ্ঞানত এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। সিউড়ি দুই ব্লকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy