Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus Lockdown

ধান, তিলের সঙ্গে পানেও ‘আমপান’-এর ক্ষতিপূরণ

বাঁকুড়ার কৃষি ও উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার পানচাষিদের ক্ষতিপূরণের জন্য ৪৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০৪:১৭
Share: Save:

‘আমপান’-এ ক্ষতিগ্রস্ত ধান ও তিল চাষিদের শস্যবিমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল বাঁকুড়ায়। জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র জানান, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ব্লক কৃষি দফতরগুলিতে চাষিরা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ‘আমপান’-এ যে সমস্ত পানচাষির বরজ অন্তত ৩৩ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁরাই ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত চাষিকে পাঁচ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাঁকুড়ার কৃষি ও উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার পানচাষিদের ক্ষতিপূরণের জন্য ৪৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।

সুশান্তবাবু বলেন, “চাষিদের আবেদনের ভিত্তিতে আমরা ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দেব। দ্রুত এই প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হবে।” জেলা উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক মলয় মাজি জানান, বাঁকুড়ার ১৫টি ব্লকে প্রায় ৪৭৫ একর জমিতে পান চাষ হয়। যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’-এ প্রায় ১৯০ একর জমির পানের বরজ ক্ষতির মুখে পড়েছে। অন্তত ৯০০ জন পানচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলা জুড়ে। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের পানচাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আমরা চাষিদের মধ্যে প্রচার করছি।”

জেলা কৃষি দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘আমপান’-এর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে জেলা জুড়ে ফসলে ক্ষতির অঙ্ক প্রায় ৩৪৬ কোটি টাকা। ১ লক্ষ ৪০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলা জুড়ে ১৮ হাজার হেক্টর বোরো ধানের জমি, ১৫ হাজার হেক্টর তিলের জমি জলের তলায় চলে যায়। ১ ,১৭০ হেক্টর জমির আনাজ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফলের বাগান নষ্ট হয়েছে প্রায় ১,৬০০ হেক্টর। জেলার ১১টি ব্লককে ক্ষতিগ্রস্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে বিষ্ণুপুর মহকুমার বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, জয়পুর, পাত্রসায়র, ইন্দাস ও সোনামুখী, খাতড়া মহকুমার রাইপুর, সিমলাপাল, তালড্যাংরা ও সারেঙ্গা এবং বাঁকুড়া সদর মহকুমার বড়জোড়া ব্লক রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। কৃষকসভার জেলা সম্পাদক যদুনাথ রায় বলেন, “পানচাষিদের ক্ষতিপূরণের টাকা আরও বাড়ানো দরকার ছিল। যে সমস্ত ধান, তিল ও আনাজচাষি আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদেরও দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলছি।” সুশান্তবাবু বলেন, “ধান ও তিলচাষিরা যাতে শস্যবিমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পান, সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আনাজ চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে রাজ্য চিন্তাভাবনা করছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Cyclone Amphan Cyclone
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy