রুদ্ধ: আটকে কয়েন। নিজস্ব চিত্র
খেলার ছলে ২ টাকার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল ছোট্ট মেয়েটি। তাতেই বিপত্তি। খাদ্যনালীতে সেটি আটকে যায়। সঙ্কটজনক হয়ে পড়েছিল বছর সাতেকের মেয়েটির অবস্থা। তাকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন পরিজনেরা।
সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইএনটি চিকিৎসক অর্ণব দত্তের প্রচেষ্টায় বুধবার রাতে গলা থেকে বের করা হয় কয়েন। আপাতত বিপদমুক্ত মেয়েটি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পাড়ুই থানার চৌমণ্ডলপুরের বাসিন্দা কৃষিজীবী শেখ নাজিম মোল্লা। বুধবার বিকেলে বাড়িতে খেলছিল তাঁর মেয়ে নাজমা খাতুন। আচমকা দু’টাকার একটি বড় কয়েন গিলে ফেলে সে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। প্রথমে পরিজনেরাই গলার ভিতর থেকে কয়েক বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েন না বেরিয়ে খাদ্যনালীতে আটকে যায়। তড়িঘড়ি শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি জেলা হাসপাতালে। বুধবার সন্ধ্যায় ওই শিশুর গলার এক্স-রে করানোর পরে কোখায়, কী ভাবে কয়েনটি আটকে রয়েছে তা বুঝতে পারেন চিকিৎসকেরা। প্রাথমিক ভাবে অন্য হাসপাতালে ‘রেফার’ করার কথা ভাবলেও, পরে শিশুটির কষ্ট দেখে ঝুঁকি নিয়ে কয়েন বের করার চেষ্টা করেন অর্ণববাবু। সঙ্গে ছিলেন অ্যানাস্থেসিস্ট গৌতম রায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোনও কাটাছেঁড়া ছাড়া, অজ্ঞান না করে ঝুঁকি নিয়ে কয়েন বের করেন চিকিৎসক। অর্ণববাবু জানান, খাদ্যনালীর মধ্যে আটকে থাকা কয়েন আলগা করে উপরের দিকে তুলে বিশেষ কায়দায় বের করা হয়। শ্বাসনালীতে ফেঁসে যাওয়ার ঝুঁকিও ছিল। এখন শিশুটি সুস্থ। নাজিম মোল্লা বলছেন, ‘‘ডাক্তারবাবুকে ধন্যবাদ। উনি আমাদেরও বাঁচালেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy