হাসপাতালের প্রতীক্ষালয়কে সংস্কার করে ‘নিউট্রিশন রিহাবিলিটেশন সেন্টার’ (এনআরসি) করতে চলেছে বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য দফতর। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় এমন উদ্যোগ প্রথম।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বর মজুমদার জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু ও মায়েদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। তারপরেও দেখা যাচ্ছে কিছু শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। বাড়়তি পুষ্টির জন্যে সেই শিশু ও তার মাকে স্বাস্থ্য জেলার ওই সেন্টারে নিয়ে আসা হবে। তিন বেলার খাবার এবং চিকিৎসার মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিশেষ নজরে রাখা হবে। পুষ্টির সমস্যা মিটলে তবে বাড়ি পাঠানো হবে।
সিএমওএইচ আরও জানান, এমন সেন্টারের গুরুত্ব বুঝে গত এপ্রিল মাস থেকে তা চালুর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু প্রতীক্ষালয়টিতে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজে যুক্ত শ্রমিকেরা থাকায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। এ বার জায়গা ফাঁকা হওয়ায় দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।
তবে এমন উদ্যোগেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। রোগীর পরিজনদের রাত্রিবাসের জন্য হাসপাতাল চত্বরে ওই প্রতীক্ষালয়টি তৈরি হয়েছিল। এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে তার টাকা যুগিয়েছিলেন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। ২০০২ সালে ৪ অগস্ট তৎকালীণ স্বাস্থ্য মন্ত্রী পার্থ দে তার উদ্বোধন করেন। রামচন্দ্র প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘রাত্রিবাসের প্রয়োজন তো আর ফুরিয়ে যায়নি! এই অবস্থায় বিকল্প জায়গার সংস্থান করে ওই সেন্টার তৈরি করলে ভাল হত।’’
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য তেমনটা মনে করছেন না। তাঁর যুক্তি, ‘‘সত্যি বলতে কি, ওই প্রতীক্ষালয়টি খুব বেশি কাজে লাগছিল না।’’ তবে রোগীর পরিজনদের রাত্রিবাসের জন্য আলাদা করে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য প্রতীক্ষালয় তৈরির সরকারের পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন তিনি। বলছেন, ‘‘আগামী দিনে সেটা অবশ্যই হবে। কিন্তু এখনই গড়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাই প্রতীক্ষালয়টি সংস্কার করতে উদ্যোগী হয়েছি।’’
ওই কাজের জন্য ২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার দরপত্র ডেকেছে স্বাস্থ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy