তাঁর দোকান থেকেই বিক্রি হয়েছিল কোটি টাকা জেতার টিকিট। বিক্রেতা হিসেবে কমিশনের টাকা পেয়ে টোটো কিনেছেন কিরণ মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লটারি এক কোটি টাকা জেতা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই প্রেক্ষিতেই জেলারই নলহাটির বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহর খুড়তুতো ভাইয়ের স্ত্রীর লটারি জেতা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। ওই টিকিট ‘হাতবদল’ হয়েছিল কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
চলতি বছরের জুন মাসে লটারিতে কোটি টাকা জিতেছিলেন নলহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা নলহাটি শহর তৃণমূলের সভাপতি রাকেশ সিংহের (পিন্টু) স্ত্রী নীরু সিংহ। অক্টোবর মাসে সেই টিকিটের ছবি ছড়ায় সমাজমাধ্যমে। এর পর থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ উঠতে শুরু করে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুন মাসের ৯ তারিখ দুপুর ১টার খেলায় নলহাটি থানার টোলপাড়া গ্রামের টিকিট বিক্রেতা কিরণ মণ্ডলের বিক্রি করা টিকিটে এলাকার কেউ প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন বলে জানাজানি হয়। কিরণ বলেন, ‘‘নলহাটির শিবশক্তি এজেন্সি থেকে টিকিট কিনে বিক্রি করতাম। সেদিন টিকিট বিক্রি করেছিলাম গ্রামের গৌতম সিংহকে। তারপরে সেই টিকিটের টাকা কে পেয়েছেন সেই বিষয়টি জানা নেই।’’
কিরণ জানান, টিকিট জেতার পরে গৌতম তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘দোকান থেকে প্রথম পুরস্কার হওয়ায় আমি কমিশন ৯০ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। সেই টাকায় টোটো কিনে চালাচ্ছি। এখন লটারির দোকানে বাবা বসছেন। এর থেকে বেশি আমি কিছু জানি না।’’
এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে গৌতমের টিকিট কী ভাবে পৌঁছল রাকেশ সিংহর স্ত্রী কাছে। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন, লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হচ্ছে। সেই কাজে শাসক দলের নেতারাও জড়িত বলে বিরোধীদের দাবি। যে টিকিটে অনুব্রত মণ্ডল পুরস্কার পেয়েছেন বলে জানাজানি হয়েছিল সেই টিকিটও একাধিক হাত ঘুরেছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে নীরু সিংহের এক কোটি জেতার টিকিট নিয়েও।
কিরণের থেকে ওই টিকিটের ক্রেতা গৌতম জানান, তিনি তৃণমূল কাউন্সিলর রাকেশ সিংহের আত্মীয়। টোলপাড়ার পাশের গ্রাম ধরমপুর। এই দুই গ্রামের মধ্যে রাকেশের জমি আছে বলে জানান গৌতম। তাঁর কথায়, ‘‘সেই জমি ও পুকুর দেখাশোনার দায়িত্ব আমার। গ্রাম থেকে নলহাটি গেলেই রাকেশদার জন্য লটারির টিকিট প্রায়ই কিনে নিয়ে যাই। সেই দিনও নিয়ে গিয়েছিলাম। সেই টিকিটে এক কোটি টাকা পুরস্কার হয়েছিল। তাতে দাদা খুশি হয়ে আমাকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন উপহার স্বরূপ। এই কথা গ্রামের সকলেই জানেন।’’
নলহাটি শহরের বেশ কয়েকটি লটারির দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাকেশ প্রায়ই টিকিট কাটেন বিভিন্ন দোকান থেকে। রাকেশ বলেন, ‘‘গৌতম আমার জমির দেখাশোনা করে। আত্মীয় বলে তাঁকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছি। গৌতম প্রায়ই লটারির টিকিট কিনে আমাকে দেয়। আজও লটারির টিকিট দেওয়ার কথা আছে। জুন মাসে ওর আনা লটারির টিকিটে প্রথম পুরস্কার পেয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy